বঙ্গ-নিউজ: সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন উল্টো বিপদ ডেকে এনেছে ইউরোপজুড়ে আশ্রয়প্রার্থী সিরীয় শরণার্থীদের। দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে থাকা ১ লাখের বেশি সিরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশী। এরইমধ্যে তাদের আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করেছে ইউরোপের বেশকিছু দেশ। খবর আল জাজিরা ও এএফপির।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অফিশিয়াল তথ্য বলছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৮ হাজার ২০০ সিরীয় নাগরিক অভিবাসনের প্রত্যাশায় রয়েছেন। গত অক্টোবর শেষে এই সংখ্যা শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের অ্যাসাইলাম আবেদনের আইনী প্রক্রিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
এরইমধ্যে গত রবিবার সিরিয়ায় দুই যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন ঘটেছে। বিদ্রোহীদের একের পর এক শহর দখলের মুখে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে পরিবারসহ মস্কোতে আশ্রয় নিয়েছেন আসাদ।
আর তাতেই বিপদ চেপেছে এই শরণার্থীদের ঘাড়ে। যেহেতু স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ আর ক্ষমতায় নেই। দেশটিতে আর গৃহযুদ্ধও থাকবে না। তাই ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীদের আর আশ্রয় দেওয়ারও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে অনেক দেশ।
এমন বিবেচনায় সিরীয়দের জন্য অ্যাসাইলামের সিদ্ধান্ত স্থগিত ঘোষণা করেছে ইউরোপের দেশ গ্রিস। এর আগে অস্ট্রিয়া, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি, সুইডেন, ডেনমার্ক ও যুক্তরাজ্য একই ঘোষণা দিয়েছে।
শুধু অ্যাসাইলাম স্থগিতই নয়, অস্ট্রিয়া ও ডেনমার্ক ঘোষণা দিয়েছে, সিরীয় শরণার্থীদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সিরিয়া থেকে নতুন কারো আশ্রয়প্রার্থনাও বিবেচনা করা হবে না।
ইউরোপীয় দেশগুলোর এমন ঘোষণায় এবং সিরীয় আশ্রয়প্রার্থীদের অ্যাসাইলাম স্থগিত করার খবরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের এমন ঘোষণার সমালোচনা করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, আসাদ সরকারের পতনর ঘটলেও সিরিয়ার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল রয়ে গেছে। তাই আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য এখনও সিরিয়া নিরাপদ নয়।
শরণার্থীবিরোধী উগ্র নীতি ইউরোপকে গ্রাস করেছে বলে মন্তব্য করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে উদ্বাস্তু ও আশ্রয়প্রার্থীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।