ঢাকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ ছাত্রদল

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ঢাকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ ছাত্রদল
শনিবার ● ২ নভেম্বর ২০২৪


ডেঙ্গু মশার.ছবি

বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ ঢাকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্রদল। ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম ফাহাদের নেতৃত্বে কারওয়ান বাজারে ড্রেন পরিষ্কার এবং মশা নিধন স্প্রে করা হয়।

শনিবার (২ নভেম্বর) এ কার্যক্রম পালন করে ছাত্রদলের সদস্যরা।

ঢাকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্রদল
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সদস্য আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফয়সাল আবীর ফিরোজ, আশরাফুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম মুসা, আব্দুর রাজ্জাক রাজু, আরিফুল ইসলাম মহিন, রাশেদ হক রোমান, মাসুদ সরকার মাসুম, বিল্লাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম নিলয়, ফারহান আহমেদ রাজন, সালমান আহমেদ, জহির আহমেদ, সফিকুর রহমান, ফিরোজ আলম বাদল, সাব্বির আজাদ, আব্দুলাহ নোমান, সাব্বির হোসেন, তৌসিফ মাহাবুব, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদল নেতা আব্দুল খালেক বিশ্বাস, মোরসালিন হোসেন, আবু রায়হান, রোহান আহমেদ রবিন, বনানী থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম, সদস্য মো. ফয়সাল গাজী, মো. মারুফ ইসলাম, নাইম বিল্লাহ, মো. ফয়সাল, ভাটারা থানা ছাত্রদল নেতা মো. আল আমিন, উত্তরা পশ্চিম থানা ছাত্রদল নেতা সাইদ লিটুসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ডেঙ্গুজ্বর একটি এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সাধারণত ডেঙ্গুজ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলোর মাঝে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে।

ঢাকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্রদল
ডেঙ্গুতে একদিনেই ১০ জনের মৃত্যু
কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর বলা হয়। এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কখনোবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দেয়। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।

কয়েক প্রজাতির এডিস মশকী (স্ত্রী মশা) ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক। যেগুলোর মধ্যে এডিস ইজিপ্টি মশকী প্রধানতম। ভাইরাসটির পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া যায়। ভাইরাসটির একটি সেরোটাইপ সংক্রমণ করলে সেই সেরোটাইপের বিরুদ্ধে রোগী আজীবন প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে, কিন্তু ভিন্ন সেরোটাইপের বিরুদ্ধে সাময়িক প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে। পরবর্তীতে ভিন্ন সেরোটাইপের ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হলে রোগীর মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

কয়েক ধরনের টেস্টের মাধ্যমে এবং ভাইরাসটি বা এর আরএনএ প্রতিরোধী এন্টিবডির উপস্থিতি দেখেও ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয় করা যায়।

কয়েকটি দেশে ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধী টিকা অনুমোদিত হয়েছে। তবে এই টিকা শুধু একবার সংক্রমিত হয়েছে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে কার্যকর।

মূলত এডিস মশার কামড় এড়িয়ে চলাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায়। তাই মশার আবাসস্থল ধ্বংস করে মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী বিভিন্ন আধারে, যেমন- কাপ, টব, টায়ার, ডাবের খোলস, গর্ত, ছাদ ইত্যাদিতে আটকে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে। শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৯:১৮ ● ৮৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ