বঙ্গ-নিউজ: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এই মাত্র আমরা বিষয়টি জানতে পারলাম। আমরা চেষ্টা করব এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেব।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে এক মাস সময় আছে।’ বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ৪৬ জন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আইসিটি’র চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে দুটি আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
প্রধান কৌঁসুলি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাসিনাসহ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ৪৬ জনের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদ এবং আনিসুল হক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে গত মাসে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন টিম উভয়কেই পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
গত ১৪ অক্টোবর সরকার বিচারপতি মোর্তুজাকে চেয়ারম্যান এবং বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীকে সদস্য করে আইসিটি পুনর্গঠন করে।
৫ আগস্ট হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে কমপক্ষে ৭৫৩ জন নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়। এরপর থেকেই শেখ হাসিনা এবং তার দলের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার ৬০ টিরও বেশি অভিযোগ আইসিটি তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন টিমের কাছে দায়ের করা হয়েছে।