বঙ্গ-নিউজ: ঢাকার মেট্রোরেলের যাত্রীরা একবার ব্যবহারের টিকিট ফেরত না দিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ায় স্টেশনগুলোতে টিকিটের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ টিকিট এভাবে হারিয়ে গেছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জনসাধারণকে টিকিট ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে পরিষেবা ব্যাহত না হয়।
সোমবার উত্তরা ডিপোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আব্দুর রউফ জানান, ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি একক যাত্রার টিকিট ইস্যু করার পর প্রায় ২ লাখ টিকিট যাত্রীরা স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় নির্ধারিত মেশিনে ফেরত দেননি।
এছাড়াও, ৬ হাজার ৮৮১টি কার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং আরও ১ হাজার ৫০০টি কার্ড নানাভাবে হারিয়ে গেছে।
ডিএমটিসিএলের এমডি যাত্রীদের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, একক যাত্রার টিকিট মেট্রো স্টেশনের বাইরে নিয়ে যাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, এই কার্ডগুলো স্টেশনের বাইরে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। টিকিট ফেরত দিলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবে।
বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের কর্মীরা জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীরা পরিবারের একাধিক সদস্যের জন্য টিকিট কিনে থাকেন। কিন্তু একসঙ্গে বের হওয়ার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কয়েকটি টিকিট ফেরত দেওয়া হয়।
কিছু যাত্রী ভিড়ের সময় টিকিট জমা না দিয়েই বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই ধরনের ঘটনা বেশ কয়েকবার ধরা পড়েছে।
একক যাত্রার টিকিটের সংকটের কারণে টিকিট বিক্রয় মেশিনেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
স্টেশন কর্মীরা জানান, যাত্রীরা বের হওয়ার গেটে টিকিট জমা দেওয়ার পর সেগুলো আবার বিক্রয় মেশিনে ফেরত পাঠানো হয়।
কিন্তু গেট থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে সময় লাগে, যার ফলে বিলম্ব হতে পারে। কর্মীরা যদি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে টিকিট সংগ্রহে আরও বিলম্ব হতে পারে, যার ফলে মেশিনে টিকিটের সংকট দেখা দিতে পারে।
স্টেশন কর্মকর্তারা আরও জানান, পর্যাপ্ত টিকিট সরবরাহ থাকলে গেট থেকে টিকিট সংগ্রহের জন্য ঘন ঘন গেট খোলার প্রয়োজন হবে না এবং আগে থেকে সংগৃহীত টিকিট সরাসরি বিক্রয় মেশিনে লোড করা যাবে।
এদিকে, টিকিটের সংকটের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
টিকিটের অভাবে কিছু বিক্রয় মেশিন বন্ধ থাকছে, যার ফলে অন্যান্য মেশিনে চাপ বেড়ে যাচ্ছে। টিকিট শেষ হয়ে গেলে যাত্রীদের নতুন টিকিট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।