বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ আর্মিদের চুল সাধারণত ছোট রাখা হয়, এবং এর পেছনে বেশ কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। ছোট চুল আর্মিদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে সহায়তা করে। যুদ্ধক্ষেত্র বা প্রশিক্ষণের সময় চুল দীর্ঘ হলে তা সহজেই ধুলো, ময়লা, পোকামাকড় বা পরজীবি ও জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়াও, ঘামে ভেজা লম্বা চুল দ্রুত গন্ধ তৈরি করে এবং ত্বকের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
ছোট চুল হলে এগুলোর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় এবং পরিষ্কার রাখা সহজ হয়।
আর্মিতে শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুনের ওপর জোর দেওয়া হয়। সবাইকে একরকমের ইউনিফর্ম পরতে হয় এবং একরকমের আচরণ করতে হয়। ছোট চুল আর্মিদের মধ্যে এক ধরনের একরূপতা নিয়ে আসে, যা দলগত শৃঙ্খলাকে আরও মজবুত করে।
এছাড়াও, এটি ব্যক্তিগত আত্মপরিচয়ের পরিবর্তে দলগত পরিচয়কে গুরুত্ব দেয়, যা দলগত মনোবল এবং সংহতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ছোট চুল রাখার আরেকটি প্রধান কারণ হলো কার্যক্ষমতা ও সুবিধা। যুদ্ধক্ষেত্রে বা প্রশিক্ষণে ছোট চুল থাকার কারণে চুল মুখে এসে বাধা সৃষ্টি করে না। হেলমেট বা অন্যান্য সরঞ্জাম পরার সময় অসুবিধা হয় না।
এটি আর্মিদের আরও মনোযোগী হতে সহায়তা করে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম করে।
লম্বা চুল শত্রুর হাতে ধরা পড়ার আশংকা অনেক বাাড়িয়ে দেয়। ছোট চুল থাকলে এই ধরনের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
ছোট চুল রাখার ঐতিহ্যটি আর্মির ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত। প্রাচীনকালে রোমান সেনারা যুদ্ধের সময় চুল ছোট রাখত, যাতে শত্রুরা তাদের চুল ধরে না ফেলতে পারে।
এই ঐতিহ্যটি ধীরে ধীরে আর্মি সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে এবং আজকের দিনেও এটি বহাল রয়েছে।
ছোট চুল রাখা আর্মিদের মানসিক প্রস্তুতির প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়। এটি তাদের কঠোরতা, প্রস্তুতি এবং শৃঙ্খলারও প্রতীক।
আর্মিদের চুল ছোট রাখার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবন, দায়িত্ব পালন এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি শুধু শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্যবিধির জন্য নয়, বরং কার্যক্ষমতা, ঐতিহ্য, এবং মানসিক প্রস্তুতির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছোট চুল আর্মিদের এক বিশেষ পরিচয়ের প্রতিনিধিত্ব করে, যা তাদের সেবা এবং কর্তব্যের প্রতীক।
সূত্র: হাউ ইটস ওয়ার্কস