
বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ বন্যা আক্রান্ত ১২টি জেলায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বেশিরভাগ মানুষ।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত ১২টি জেলার ১২ হাজার ২৫০টি সাইট বা টাওয়ারের মধ্যে ১০ হাজার ৪৭১টি সাইট সচল আছে। আর অচল হয়ে পড়েছে ১ হাজার ৭৭৯টি।।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তথ্যমতে, মারাত্মক বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনীর ৭৫ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। আর খাগড়াছড়িতে এ হার ৩৬ শতাংশ।
মোবাইল অপারেটররা জানায়, বন্যাকবলিত অঞ্চলে আমাদের অপারেটরদের টাওয়ার এলাকা ডুবে গেছে। এসব টাওয়ারে একদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, অন্যদিকে তুমুল স্রোতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক সহযোগিতা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নেটওয়ার্ক পুনরায় চালু করা যাচ্ছে না। স্রোত না কমা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক পুনঃসংযোগ করা সম্ভব নয়।
জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে শি খারাপ অবস্থা ফেনীতে। এ এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল করতে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে ৫টি ভিস্যাট পাঠানো হয়েছে। বন্যা প্লাবিত বিভিন্ন এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভিস্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি চারটি মোবাইল অপারেটরের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ৫০০ মেগাবাইট ডেটা ফ্রি করা হয়েছে।
টাওয়ার সচল রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা জানিয়েছে বিটিআরসি। একইসঙ্গে ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর কিংবা পোর্টেবল জেনারেটরের মাধ্যমে টাওয়ার সচল রাখতে সংস্থাটি মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে।