
বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তদন্তের জন্য জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধানের প্রাথমিক কারিগরি দল ঢাকায় পৌঁছেছে। তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার মধ্যরাতে ঢাকা পৌঁছায়। প্রাথমিক কারিগরি দলটি বাংলাদেশে প্রায় এক সপ্তাহের সফর করার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধি দলটি আজ সকালেই যাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। বৈঠক করার কথা রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে। তিনি বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে সহকারী পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে কাজ করছেন। প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের হাইকমিশনার দপ্তরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল। এ সময় ঢাকায় এসে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজের ধারা, প্রক্রিয়া, শর্তসহ সব বিষয় চূড়ান্ত করবে।
গণহত্যার শিকার হয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের আরও একটি বছর পূর্ণ হওয়ায় পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যাবাসন শুরু নিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এখনও রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি খুবই সংকটপূর্ণ। আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার বাহিনীর সংঘাত চলছে। বাংলাদেশের কাছে থাকা সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যের একটি বড় অংশ এখনও আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণ করছে, সেখানে মিয়ানমার বাহিনী কিছুটা কোণঠাসা রয়েছে। সংঘাতপূর্ণ এ সময়ে রোহিঙ্গাদের সেখানে ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়। তার পরও মিয়ানমারের নতুন রাষ্ট্রদূত যখন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন, সেখানে নেপিদোর পক্ষ থেকে তাঁর রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন।
রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমে আসা নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে চাহিদার ৫০-৬০ শতাংশের তহবিল রয়েছে। এভাবেই গত দুই বছর ধরে চলছে। বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছে, যাতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকে।
প্রধান উপদেষ্টার বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আসন্ন বিমসটেক সম্মেলনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে সাইড লাইনে কিছু বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে এখনও কাজ করছি। আমরা দেখছি, কোন কোন দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানরা যাবেন। ফলে সবার সঙ্গেই দেখা হতে পারে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে জানা যাবে কাদের সঙ্গে বৈঠক হবে।
ভারত থেকে পানির ঢল নিয়ে প্রশ্ন করলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি। প্রয়োজনে কোনো পদক্ষেপের অনুরোধও ভারতের কাছে করা যাবে।
ভারতের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের সরকারপ্রধান ইতোমধ্যে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টা একটি সম্মেলনেও অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সামনে সৌজন্য সাক্ষাৎ রয়েছে।