টেকসই রোহিঙ্গা কর্মসূচির দাবি

Home Page » প্রথমপাতা » টেকসই রোহিঙ্গা কর্মসূচির দাবি
মঙ্গলবার ● ২০ আগস্ট ২০২৪


ফাইল ছবি

বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ দেশে রোহিঙ্গা কার্যক্রমে নিযুক্ত কর্মী এবং স্থানীয় মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে টেকসই রোহিঙ্গা কর্মসূচি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তহবিল কমে যাওয়ায় মানবিক কার্যক্রমে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমানোরও আহ্বান জানানো হয়েছে। বক্তারা রোহিঙ্গা ও স্থানীয় মানুষের জন্য সাড়াদান কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বিশ্ব ব্যাংকের সাম্প্রতিক ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতিরও সমালোচনা করেন। তাদের মতে, মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে ঋণ ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী একটি নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।

সোমবার বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে ‘মানবতার জন্য আইন- বাদ যাবে না কেউ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অ্যালায়েন্স ফর এমপাওয়ারিং পার্টনারশিপের সহযোগিতায় কোস্ট ফাউন্ডেশন, কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ) এবং বিডিসিএসও কোঅর্ডিনেশন প্রসেস এ সভার আয়োজন করে।

নারীনেত্রী শিরিন হকের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের মো. ইকবাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন সুইজারল্যান্ড থেকে ইকভা’র মাইরেলা সুতেকিরি, বাংলাদেশ থেকে ডিজাস্টার ফোরামের গওহর নঈম ওয়াহরা, ফিলিপাইন থেকে এফোরইপি’র চেয়ারপারসন ন্যানেট এস এন্টেক্যুয়েসা, পাকিস্তান থেকে কমিউনিটি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস এশিয়ার পালওয়াশে আরবাব, ভারত থেকে হিউম্যানিটারিয়ান এইড ইন্টারন্যাশনাল সুধাংশু শেখর সিং, স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের চেয়ারপারসন ড. মো. শহীদ উজ জামান, খুলনা থেকে রূপান্তরের রফিকুল ইসলাম; কক্সবাজার থেকে গ্রিন কক্স’র ফজলুল কাদের চৌধুরী, কক্সবাজারের এনজিও প্লাটফর্মের মিস মারিয়ানা নার্হি, ঢাকা থেকে বিএনএনআরসি’র এএইচএম বজলুর রহমান এবং বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধি এম এ হালিম, আমির হোসেন, বরকত উল্লাহ মারুফ, মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধে ইকবাল উদ্দিন বলেন, মানবিক সহায়তা কর্মীরা অনেক সময় তাদের প্রাপ্য স্বীকৃতি পান না। বরং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে তারা বিভিন্ন সময়ে হামলার শিকার হন। মাইরেলা শুতেরিকি বেসামরিক নাগরিক, মানবিক সহায়তা কর্মী এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে ব্যবহৃত স্থাপনা সুরক্ষা করার উপর জোর দেন।

গওহর নঈম ওয়াহরা বলেন, সংকটে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি।

ন্যানেট এস এন্টেক্যুয়েসা বলেন, বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গেছে মানবিক সহায়তাকর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়? তিনি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের আওতায় তাদের প্রতি ন্যায়বিচারের আহবান জানান। পালওয়াশে আরবাব মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে দুর্ঘটনা কমাতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার ওপর গুরুত্ব দেন।

সুধাংশু শেখর সিং বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবিক সংগঠনগুলোর কর্মীদের মধ্যে সুবিধা ও বেতন বৈষম্যে রয়েছে। এগুলো দূর করা দরকার।

ড. মোঃ শহীদ উজ জামান বলেন, আর্থিক সহায়তা তহবিলের স্থানীয়করণ ও উপনিবেশবাদ দূর করতে হবে। রফিকুল ইসলাম রোহিঙ্গা সাড়াদানে স্থানীয়করণের ক্ষেত্রে নতুন করে অঙ্গীকার করার আহ্বান জানান।

এএইচএম বজলুর রহমান বলেন, সংঘর্ষকালীন সাইবার আক্রমণ বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে ভুল তথ্যের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেন তিনি।

ফজলুল কাদের চৌধুরী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাসকারী ১৪ হাজার স্থানীয় কমিউনিটির সদস্যদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার উপর জোর দেন।

মারিয়ানা নার্হি বলেন, রোহিঙ্গাদের মর্যাদা এবং অধিকারের বিষয়টি উপেক্ষিত। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নারী ও শিশুদের সংকটকালীন সময়ে তাদের ঝুঁকি প্রশমন এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ফেরদৌস আরা রুমি।

বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৫:০৮ ● ৩৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ