বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে কোনো মন্তব্য না করায় সমালোচনা শুনতে হয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের কড়া সমালোচনা এখনো চলছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তাই নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়ি পুড়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
গত এক মাসে এত ঘটনার পরও চুপ ছিলেন মাশরাফি।
অবশেষে মুখ খুলেছেন তিনি। কথা বলেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ডিজিটাল গণমাধ্যমের সঙ্গে।
বাড়িতে আগুন লাগানোয় কষ্ট পেলেও কারো প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। সঙ্গে এমনটিও জানিয়েছেন তার প্রতি কারো ক্ষোভ থাকলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
তিনি বলেছেন, ‘নড়াইলের বাড়িটা করেছিলাম মায়ের জন্য। এখন শেষ। অনেকেই বলেছেন মামলা করতে, ব্যবস্থা নিতে। ছবি-ভিডিও সবই আছে অনেকের কাছে।
তবে আমি বলেছি, এসব করব না। আমার বাবাকেও বলে দিয়েছি। এখনকার সরকার বা ভবিষ্যতে নির্বাচন করেও যে সরকার আসুক, কারো কাছেই বিচাই চাইব না। কোনো অভিযোগ নেই। খুলনা-যশোর থেকে বা ঢাকা থেকে গিয়ে কেউ এই বাড়ি ভাঙেনি।
নড়াইলের কোনো না কোনো জায়গা থেকে উঠে আসা মানুষই পুড়িয়েছে। নড়াইলের মানুষের বিরুদ্ধে বিচার আমি চাইব না। নিজের ভাগ্য মেনে নিয়েছি। হয়তো কোনো ভুল করেছি, সেটার ফল পেয়েছি। কষ্ট আছে অবশ্যই, তবে রাগ-ক্ষোভ নেই কারো প্রতি। আমার প্রতি এখনো কারো ক্ষোভ থাকলে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বিকেলে নড়াইলে মাশরাফির ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার বাবা-মা বের হন এক কাপড়ে। মাশরাফি নিজের পরিবার নিয়ে এখন ঢাকায় নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন।