পদত্যাগ করলেন ডুয়েট ও কুয়েট উপাচার্য

Home Page » শিক্ষাঙ্গন » পদত্যাগ করলেন ডুয়েট ও কুয়েট উপাচার্য
মঙ্গলবার ● ১৩ আগস্ট ২০২৪


ফাইল ছবি

বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য ও রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ গতকাল সোমবার পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে ডুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এ দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ এখনও স্বপদে বহাল রয়েছেন।

ড. হাবিবুর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে গত কয়েকদিন থেকেই আন্দোলন করছিলেন ডুয়েট শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্যকে পদত্যাগ করার জন্য রোববার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামও দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে বর্তমান প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি ছিল শিক্ষার্থীদের। একই সঙ্গে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে সব দায়িত্ব থেকে অপসারণ এবং চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছিলেন তারা। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি ছিল তাদের।

ব্যুরো, অফিস, প্রতিনিধিরা জানান, গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দুই উপ-উপাচার্য (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) বেনু কুমার দে এবং অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী, হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন।

একই দিন পদত্যাগ করেন কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। উপাচার্যের পদত্যাগ-সংক্রান্ত চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে এবং পূর্ণকালীন/ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন বলে উল্লেখ করা হয়।
রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহা. আব্দুল খালেকও গতকাল পদত্যাগ করেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দুপুরে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পালিয়ে গেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাইম জাহান। রোববার রাতে তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক সাইফুল ইসলাম।

কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ মুজিবুল আলমের অপসারণের দাবিতে গতকাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মজিবুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ আছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকার পতনের পর থেকে অধ্যক্ষ দায়িত্ব হস্তান্তর না করেই কলেজে অনুপস্থিত রয়েছেন।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও রংপুর মেডিকেল কলেজে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। গত রোববার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। পটুয়াখালী সরকারি কলেজেও ছাত্র রাজনীতি আপাতত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল কলেজ অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অপর বিজ্ঞপ্তিতে কলেজের বর্তমান শিক্ষক পরিষদও বিলুপ্ত করা হয়েছে।

এদিকে সরকার পরিবর্তনের পর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল ভুঞার পদত্যাগের দাবিতে গতকাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের ছবিতে আগুন দেন। প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা ক্যাম্পাসে ঢুকলে তাদের ধাওয়া দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, অধ্যাপক জামাল ভুঞা দায়িত্ব পাওয়ার পর কিছু শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তবে উপাচার্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, পদত্যাগ বিষয়ে তিনি নির্দেশনার অপেক্ষা করছেন। কর্তৃপক্ষ চাইলে পদত্যাগ করবেন।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনের সমর্থক শিক্ষকের পদত্যাগ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করেছেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহসীন উদ্দিন। গত রোববার জরুরি সিন্ডিকেট সভা শুরুর আগ মুহূর্তে তিনি উপাচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করে যে ৩৫ জন শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে অধ্যাপক মহসীন ছিলেন। তাঁর পদত্যাগ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। কেন পদত্যাগ করলেন– এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মুহসীন বলেন, কারণটা যাঁকে পদত্যাগপত্র দিয়েছি, তিনিই ভালো জানেন।

বাংলাদেশ সময়: ৯:১১:০৩ ● ৫৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ