বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালানোর পর শহরের পূর্ব অঞ্চলে পালিয়ে গেছে কয়েক হাজার বাসিন্দা। সেখানে বসবাসের স্থান না পেয়ে ফুটপাতেই আশ্রয় নিয়েছেনে তারা। এতে খাবার, সুপেয় পানি ও আশ্রয় না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির।
এদিকে হামাস কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরকে নতুন করে আলোচনার পরিবর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নের একটি পরিকল্পনা জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৮ শতাংশ নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য-উপাত্তে এই চিত্র উঠে এসেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলায় চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলা এখনো চলছে।
ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজার মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৮ শতাংশ নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের প্রায় ৭৫ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলমান সংঘাতে অন্তত ৩৯ হাজার ৭৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত ৯২ হাজার। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলমান গাজা সংঘাতে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। দেশ তিনটি সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ১৫ আগস্ট আলোচনায় বসার জন্য ইসরায়েল ও হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বলা হয়েছে, দোহা বা কায়রোয় এ আলোচনা হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো সম্ভব। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা সম্ভব।