বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ নাশকতাকারীদের হামলায় ঢাকায় পুলিশের সদরদপ্তরসহ বিভিন্ন থানা ও ইউনিট লণ্ডভণ্ড। গত দু’দিনেও এসব থানা ও ইউনিটের চিত্র পরিবর্তন হয়নি। তবে গতকাল সকালে সদরদপ্তরে নবনিযুক্ত আইজিপি যাওয়ার আগে কিছুটা পরিষ্কার করা হয়।
সকালে বেশ কয়েকটি থানায় গিয়ে দেখা যায়, নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন আনসার সদস্য ছাড়াও স্থানীয় লোকজন এবং শিক্ষার্থীরা। এখনও সুযোগসন্ধানীরা থানার ধ্বংসস্তূপ থেকে নানা জিনিস সরানোর চেষ্টা করছেন। এদিন ঢাকার অধিকাংশ থানার সরকারি নাম্বারে যোগাযোগ করে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, বংশাল, মুগদা, খিলগাঁও, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, উত্তরা পূর্বসহ বেশ কয়েকটি থানা ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছিল নাশকতাকারীরা। ফলে এসব থানাসহ অক্ষত থানায়ও কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আনসারের পক্ষ থেকে বলা হয়, পুলিশ কাজে ফিরলে তাদের কাছে থানা হস্তান্তর করা হবে। এর আগে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
থানাসহ সরকারি স্থাপনার দায়িত্বে থাকা কয়েক আনসার সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে পাঠানো হয়। তবে ক’দিন এই দায়িত্বে থাকতে হবে, সেটা তারা বলতে পারছেন না। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত থানার নিরাপত্তায় তারা থাকবেন। ঢাকার প্রতিটি থানার নিরাপত্তায় আটজন করে দায়িত্ব পালন করছেন।
দুপুরের দিকে পুলিশ সদরদপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে শুরু করে আইজিপি ভবনের দোতলা পর্যন্ত ধ্বংসের চিহ্ন। এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন এপিবিএন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
দেখা যায়, পুলিশ সদরদপ্তরের নিরাপত্তা চৌকি ভেঙে ফেলেছে নাশকতাকারীরা। এর পর তারা আইজিপি ভবনের নিচতলা থেকে শুরু করে তিনতলা পর্যন্ত ধ্বংসযোগ্য চালায়। কাচের সব দরজা ভেঙে ফেলা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে ভাঙা কাচ সরিয়ে ফেলতে কাজ করেন শ্রমিক ও কর্মচারীরা।