বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পর্যটনসহ কক্সবাজারের ১৫ খাতে আট দিনে ব্যাবসায়িক ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এমন তথ্য প্রকাশ করেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী।
আবু মোর্শেদ জানান, গত ১৬ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের সুপারিশ করেছেন।
সেই সঙ্গে তিনি ১৫ দিনের ভ্যাট মওকুফ ও কর্মচারিদের জন্য প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন।
চেম্বার সভাপতি জানান, ১৬ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত আট দিনে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির তথ্য চেয়েছিল সরকার। সংশ্লিষ্টদর সঙ্গে আলাচনা কর ১৫টি খাতর ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন এটি লিখিতভাবে সরকারের কাছে পাঠানা হচ্ছে, যেখান সুপারিশ ও ব্যবসায়ীদের দাবিও রয়েছে।
চেম্বারের দেওয়া তথ্মতে, এই আট দিনে কক্সবাজারের ৩৫০টি রেস্তোরাঁয় দুই কোটি ৮০ লাখ, ৪৫০টি আবাসিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসে ৭৪ কোটি ৭০ লাখ, দূরপাল্লায় চলাচলকারী ৯০টি বাসে তিন কোটি ৮৯ লাখ, জেলার ভেতরে চলাচলকারী ১৬০টি বাসে ৭৭ লাখ, ভোগ্যপণ্যের এক হাজার দোকানে ৪০ কোটি দুই হাজার, অন্যান্য দোকানে চার কোটি ৮০ লাখ, নিমার্ণসামগ্রীর ৭০০ দোকানে ৩৫ কোটি, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ১৪৮ কোটি, উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানের চার কোটি আট লাখ, বার্মিজ মাকের্টের ৮০০ দোকানে ২০ কোটি, নগদ, বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আট হাজার প্রতিষ্ঠানে ৩২০ কোটি, মৎস্য খাতে ২৫ কোটি ২০ লাখ, ৫০০ মোবাইলের দোকানে আট কোটি, পোল্ট্রি ফার্মে পাঁচ কোটি ২০ লাখ এবং ৩২টি জ্বালানি তেল ও ৫৫টি এলপিজি গ্যাস পাম্পে তি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
আবু মোর্শেদ চৌধুরী জানান, এসব খাতে এখনো ক্ষতি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধারাবাহিক ক্ষতি হচ্ছে।
এ দিন আলোচনাসভায় ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।