
বঙ্গনিউজঃ বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা শুরু ১৯৮৪ সাল থেকে। ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা ১৯ আসরে খেলেছেন রানী হামিদ। মাঝে ২০২২ সালের আসরে ছেদ পড়েছিল। ‘দাবার রাণী’ খ্যাত এ আন্তর্জাতিক মাস্টার (আইএম) ৮১ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের ২০তম অলিম্পিয়াড খেলতে যাচ্ছেন।হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার কথা দেশের শীর্ষ পাঁচ দাবাড়ুর। গেল জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা রানী হামিদের সুযোগ মিলেছে শারমিন সুলতানা শিরিন নাম প্রত্যাহার করায়। সর্বশেষ জাতীয় দাবার রানার্সআপ হওয়া শিরিন পারিবারিক কারণে অলিম্পিয়াডে যাচ্ছেন না।নওশীন আঞ্জুম, ওয়াদিফা আহমেদ, নুসরাত জাহান আলো এবং ওয়ালিজা আহমেদের সতীর্থ হয়ে যাচ্ছেন রানী হামিদ। সন্দেহাতীতভাবেই আসরের অন্যতম বর্ষীয়ান খেলোয়াড় হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের কৃতী এ দাবাড়ু। ২০১৮ বার্তুমি অলিম্পিয়াডে রানী হামিদ ছিলেন বয়োজোষ্ঠ্য দাবাড়ু।
সৈয়দা জসিমুন্নেসা খাতুন, ডাক নাম রাণী। বিয়ের পর স্বামী মোহাম্মদ আব্দুল হামিদের নামের অংশ জুড়ে হয়ে গেছেন রানী হামিদ। বাংলাদেশ দাবার উজ্জ্বল নক্ষত্র, ৮১ বছর বয়সেও খেলে যাচ্ছেন।তার অলিম্পিয়াড যাত্রা শুরু হয়েছিল ওপেন বিভাগে, পুরুষ দলের সঙ্গী হয়ে। কারণ ১৯৮৪ সালের অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ থেকে নারী দল পাঠানো হয়নি। ১৯৮৮ ও ১৯৯২ সালের অলিম্পিয়াডে ওপেন বিভাগে বাংলাদেশ দলের একমাত্র নারী সদস্য ছিলেন রাণী হামিদ।
১৯৮৫ সালে দেশের প্রথম নারী দাবাড়ু হিসেবে আইএম নর্ম অর্জন করেন রানী হামিদ। ২৬ বছর দেশের একমাত্র নারী আইএম ছিলেন। ২০১১ সালে দ্বিতীয় দাবাড়ু হিসেবে আইএম নর্ম অর্জন করেন শামীমা আক্তার লিজা। ১৯৮৩, ১৯৮৫ ও ১৯৮৯ সালে ব্রিটিশ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের নারী বিভাগে শিরোপা জয় করা রানী হামিদ কোথায় গিয়ে থামেন— সময়ই বলতে পারে!