বঙ্গনিউজঃ আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যকে উপহার দিয়েছিলেন বিখ্যাত ‘সোনালী কাবিন’ কবিতা। বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ ১১ জুলাই, মঙ্গলবার। ১৯৩৬ সালের এদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সোনালী কাবিনখ্যাত বরেণ্য কবি আল মাহমুদের পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। তার বাবার নাম মীর আবদুর রব ও মায়ের নাম রওশন আরা মীর। তার দাদা আবদুল ওহাব মোল্লা হবিগঞ্জ জেলায় জমিদার ছিলেন।
কবি আল মাহমুদ কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাই স্কুলে পড়ালেখা করেন। মূলত এ সময় থেকেই তার লেখালেখির শুরু।সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে ১৯৫৪ সালে আল মাহমুদ ঢাকায় চলে আসেন। সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্রপত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। তিনি পাশাপাশি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসাবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন। তিনি ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি ইন্তেকাল করেন।কবি আল মাহমুদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মাননা হলো- জয় বাংলা পুরস্কার, হুমায়ুন কবীর স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার, কাজী মোতাহার হোসেন সাহিত্য পুরস্কার, কবি জসীম উদ্দিন পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, ভানুসিংহ সম্মাননা পদক, লালন পুরস্কার।
কবির প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- লোক লোকান্তর, কালের কলস, সোনালী কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো, আরব্য রজনীর রাজহাঁস, বখতিয়ারের ঘোড়া, অদৃশ্যবাদীদের রান্নাবান্না, দিনযাপন, দ্বিতীয় ভাঙন, একটি পাখি লেজঝোলা, পাখির কাছে ফুলের কাছে, আল মাহমুদের গল্প। কবি আল মাহমুদের জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।