মানুষের জীবনে কৌতূহলের শেষ নেই। এর কতক কৌতূহলি প্রশ্নের উত্তর মানুষ পায় আর কতকের কোনো উত্তর মানুষ পায় না। এসবের কিছু বিষয়ে বিজ্ঞান ও ধর্মের রয়েছে আলাদা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি। ঠিক তেমনই একটি বিষয় হলো মৃত্যুর সময় মানুষের মস্তিষ্কের অনুভূতি কেমন হয়?
বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এর উত্তর পাওয়াটা আসলেই খুব সহজ নয়। কেননা মুমূর্ষু ব্যক্তিরা সাধারণত তাদের ওই সময়ের অভিজ্ঞতার প্রকৃতি পুরোপুরি স্মরণ ও প্রকাশ করতে পারেন না। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে ধর্মের ও ব্যাখ্যা আছে। তবে বিজ্ঞানীদেরও বিষয়টি নিয়ে আলাদা বিশ্লেষণ রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, সম্প্রতি এক মুমূর্ষু ব্যক্তির মস্তিষ্ক পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা। এ সময়ে ওই ব্যক্তির সাথে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ও হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা প্রক্রিয়াটি বেশ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের এ গবেষণা পত্রটি ১৪ সেপ্টেম্বর রিসাসিটেশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।জার্নালে বলা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হৃৎযন্ত্রের স্পন্দন এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পরেও তাদের মস্তিষ্কের নানা কার্যক্রম দেখা গেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, মস্তিষ্ক পুরোপুরি মারা যেতে কয়েক ঘণ্টা সময় নেয়। এ সময়ে অনেকের চোখের সামনে অতীত জীবনের স্মৃতি সামনে আসে। এসময় কেউ আবার জীবন ফিরে পেলে সেসব অনুভূতি শেয়ারও করেতে পারেন।
গবেষক বা এমন এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছেন- তার মুমূর্ষু সময়ে একটি অডিও বাজিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। পরে সেই অডিও শনাক্ত করতে পেরেছেন এক ব্যক্তি। এ নিয়ে লাইভ সায়েন্সের প্রবন্ধও রয়েছে।বিজ্ঞানীরা জানান, মৃত্যুপথযাত্রীরা সাধারণত এক ধরনের আনন্দানুভূতির মধ্যে দিয়ে যান। ওই গবেষণাটি ৫৬৭ জনের ওপর চালানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বেঁচে ফিরেছেন ৫৩ জন।নিউইয়র্ক ল্যাগন হেলথের মেডিসিনের অধ্যাপক স্যাম পারনিয়া বলেন, গবেষণায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ তাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা অনুধাবন করতে পেরেছেন। তবে তারা তা স্মৃতিতে রাখতে পারেন না। এ ছাড়া ২০ শতাংশ তাদের মৃত্যুকালীন অনুভূতি কিছু পরিমাণে স্মরণ করতে পারেন। অন্যরা মনে করেন, ওই সময় মস্তিষ্কে তাদের সারাজীবনের কর্মকাণ্ডের এক ধরনের মূল্যায়ন ঘটে। তাদের অতীত চোখের সামনে ভেসে ওঠে।তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি যে মৃত্যুপথযাত্রীর কানে কয়েকটি সহজ শব্দ শোনালে তারা সেগুলো শিখতেও পারেন। নিবন্ধটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।