বঙ্গনিউজঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারাল ভারত। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে কার্লস ব্র্যাথওয়েটের ক্ষেত্রে যে কথাটা বলা হয়েছিল, শনিবার সূর্যকুমার যাদবের ক্ষেত্রে বললে এতটুকু অত্যুক্তি হবে না।
২০ তম ওভারে ডেভিড মিলারের অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিলেন তিনি। আর যে ক্যাচটার সুবাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত।
১৭ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত। প্রথম শিরোপা জয় পায় ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে।
ওই ক্যাচটা না হলে জসপ্রীত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, হার্দিক পান্ডিয়াদের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স সত্ত্বেও হয়তো হেরে মাঠ ছাড়তে হত রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৬ বলে ১৬ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। স্ট্রাইকে ছিলেন মিলার। প্রথম বলটা খুব একটা আহামরি করেননি হার্দিক পান্ডিয়া। বল শট মারতে যান মিলার। ঠিকমতো ব্যাট এবং বলের সংযোগ হয়নি। তাতেও বলটা ছক্কা হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরেন সূর্য।
দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ শেষ হয়ে গেল সেখানেই। শেষ ওভারে এলো ৮ রান। ব্যর্থ হলো হেনরিখ ক্লাসেনের ২৭ বলে ৫৪ রানের দুর্দান্ত সেই ইনিংস। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭ রানের জয়ে বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ভারত।
বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে শনিবার টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে অফফর্মে থাকা বিরাট কোহলির ব্যাট আজকে হেসেছে। রোহিত শর্মা, ঋষভ পান্ত ও সূর্যকুমার যাদব রান না পেলেও কোহলি দলের হাল ধরেছিলেন প্রায় শেষ পর্যন্ত। ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
পাঁচে নামা অক্ষর প্যাটেলের ৪৭ আর শিভম দুবের ২৭ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন কেশভ মহারাজ ও এনরিখ নরকিয়া।