বাংলাদেশকে তিস্তার পানি নয়:মোদিকে মমতার চিঠি

Home Page » জাতীয় » বাংলাদেশকে তিস্তার পানি নয়:মোদিকে মমতার চিঠি
মঙ্গলবার ● ২৫ জুন ২০২৪


ফাইল ছবি-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়   ও নরেন্দ্র মোদি

বঙ্গ-নিউজ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। কারণ রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের মানুষের সেচ ও পানীয়ের জন্য পানির প্রয়োজন। আজ সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে এ কথা জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। খবর এনডিটিভির।

প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখা চিঠিতে মমতা বলেছেন, গত কয়েক বছর ধরে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে গেছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পানি ভাগাভাগি করা হলে রাজ্যের উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপ্রতুলতায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

মাত্র শনিবারই নয়াদিল্লি সফর করে আসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিস্তার পানি ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই সোমবার ওই চিঠি লিখেন মমতা।

চিঠিতে মমতা বলেন, রাজ্য সরকারের পরামর্শ ও মতামত ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ইস্যুতে একতরফা সিদ্ধান্ত কাম্য নয়।

মমতা লিখেছেন, আমি বুঝতে পেরেছি, ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তি (১৯৯৬) পুনঃবাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে; যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে।

মোদিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, আপনি জানেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টনের পরিমাণ নির্ধারণে এ চুক্তির প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ওপর বিশাল। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এ ধরনের চুক্তিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়, রেলপথ ও বাস পরিষেবা চালু ইত্যাদির দিকে ইঙ্গিত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, অতীতে বাংলাদেশের সঙ্গে কয়েকটি বিষয়ে সহযোগিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। তবে পানি অত্যন্ত মূল্যবান এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর হাতিয়ার। আমরা এমন সংবেদনশীল ইস্যুতে আপোস করতে পারি না।

মমতা বলেন, সিকিমে কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ এবং নদীর ঊর্ধ্ব জলাভূমি এলাকায় বন উজাড়ের কারণে ভারতের দিকে তিস্তা এরই মধ্যে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন ভাগাভাগি করার মতো পর্যাপ্ত পানি নেই।

মমতা লিখেছেন, বৈঠকে ভারত সরকার বাংলাদেশে তিস্তা নদীকে পুনরুজ্জীবিত করতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। আমি অবাক হয়েছি যে, ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয় নিজ দেশেই নদীটিকে তার আসল চেহারায় ফেরানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এর আগে, গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরকালে নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নসহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি সইকালে মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বাংলাদেশের দিকে তিস্তার পানি সংরক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য ভারতের একটি বিশেষজ্ঞ দলকে শিগগিরই বাংলাদেশে পাঠাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২:১২:৩৭ ● ১৪৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ