বিএনপি যখন নির্বাচনের কথা বলে, তখন হাসি পায়:শেখ হাসিনা

Home Page » জাতীয় » বিএনপি যখন নির্বাচনের কথা বলে, তখন হাসি পায়:শেখ হাসিনা
রবিবার ● ১৬ জুন ২০২৪


ফাইল ছবি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বঙ্গ-নিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এলেও কেউ টিকে থাকতে পারেনি। ভোট চুরি হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছিল খালেদা জিয়া। কিন্তু জনগণ থাকতে দেয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণ খুব সচেতন।

গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের আয়োজনে আষাঢ় মাসের প্রথম দিনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় দেশবাসীকে আরও বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে ‘সবুজ বাংলাদেশ’ গড়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্যে দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে খালেদা জিয়া দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে বলে তাদের বিরাট গর্ব ছিল, কিন্তু শেষপর্যন্ত কী দেখা গেল? দেশের মানুষের আন্দোলনের মুখে ৩০ মার্চ তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। অর্থাৎ ভোট চুরির অপরাধেই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে জনগণ।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে পচাঁত্তরে হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ‘ছিনিমিনি’ খেলেছে এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকেও ধ্বংস করেছে তারা।

বঙ্গ-নিউজ: প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে দেশের ক্ষমতা দখল করে সমস্ত মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল সেদিন। আর আজকে যখন দেখি বিএনপি নির্বাচনের কথা বলে, তখন আমার খুব হাসি পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল, তারা শুধু জনগণের ভোট চুরিই করে না, দেশের কৃষক-শ্রমিকের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলেছে। সার না পেয়ে কৃষক আন্দোলন করেছে, তাদের ১৮ জন কৃষককে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে খালেদা জিয়া।

২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগুন দিয়ে ওরা শুধুমাত্র মানুষ পোড়ায়নি, রাস্তার পাশে হাজার হাজার গাছও তারা কেটে ফেলেছিল।

দেশের কৃষিখাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন এবং স্বাধীনতার পর পর সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন। কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের অর্থনীতি মূল নির্ভরশীলতা হচ্ছে কৃষি। কৃষি অর্থনীতিটাকে আরও উন্নত করে আমরা শিল্পায়নে যাব। কৃষিকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলা হবে কৃষিভিত্তিক শিল্পায়ন।

কৃষি জমি রক্ষায় আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নগরায়ণের চাপে যাতে ফসলি জমি নষ্ট না হয় এবং ফসল উৎপাদনে যেন বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকতে হবে।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যত্রতত্র কুরবানির পশু জবাই করে চারপাশ যাতে নোংরা না হয়, পরিবেশ দূষিত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:০৪:২৭ ● ১০৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ