বঙ্গ-নিউজ: ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করছে, তারা গতকাল একটি জোরদার অভিযান চালিয়ে গাজা থেকে চার ইসরায়েলি জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তবে হামাস বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী নুসেইরাত ক্যাম্পে নৃশংস ও বর্বর হামলা চালিয়ে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এই হামলায় তাদের ব্যর্থতার খতিয়ানে কোনো পরিবর্তন আসবে না। খবর রয়টার্স।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মধ্য গাজার নুসেইরাতের দুটি পৃথক স্থান থেকে জিম্মিদের উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃতরা হলো- নোয়া আরগামানি (২৫), আলমোগ মেইর জান (২১), আন্দ্রে কোজলভ (২৭) ও শ্লোমি জিভ (৪০)। তাদেরকে গত ৭ অক্টোবর হামাস অপহরণ করে গাজায় নিয়ে এসেছিল। সে সময় হামাসের হাতে ২৫১ জন বন্দী হয়, যাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১৬ জন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আটকে রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইসরায়েলি হামলায় এই বন্দীদের মধ্যে ৪১ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গাজা থেকে চার জিম্মিকে উদ্ধারের দাবির পর হামাস বলেছে, এই উদ্ধার সত্ত্বেও ইসরায়েলের কৌশলগত ব্যর্থতায় কোনো পরিবর্তন আসবে না। কারণ তাদের হাতে এখন পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক জিম্মি রয়ে গেছে এবং দিন দিন তারা এর পরিমাণ বাড়াচ্ছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস আরও জানায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নুসেইরাতের যে বর্বর হামলা চালিয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছিল। এর ফলে আরেকবার প্রমাণিত হলো, গাজায় চলমান যুদ্ধাপরাধে তাদের সায় আছে এবং তারা এই গণহত্যার সঙ্গে পুরোপুরিভাবে জড়িত।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আড়াইশ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে আসে। সেই থেকে জিম্মি উদ্ধার ও হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে গতকালের ৪ জিম্মি উদ্ধারই ছিল এ পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। সব মিলিয়ে আট মাসের যুদ্ধে তারা জীবিত সাত বন্দীকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান ইসমাঈল হানিয়া বলেছেন, এ ধরনের হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের ইচ্ছা হামাসের ওপর চাপিয়ে দিতে পারবে না। দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, যদি ইসরায়েলিরা মনে করে তারা তাদের ইচ্ছা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারবে, তাহলে তারা বিভ্রান্তিতে আছে। আমরা আত্মসমর্পণ করব না বরং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখব।