মালয়েশিয়ায় আর যাওয়া হলো না ৩১ হাজার বাংলাদেশির !!

Home Page » জাতীয় » মালয়েশিয়ায় আর যাওয়া হলো না ৩১ হাজার বাংলাদেশির !!
রবিবার ● ২ জুন ২০২৪


লক্ষ টাকা ব্যয়, তবুও যাওয়া হলো না তাদের

বঙ্গ-নিউজ: স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায় আর যাওয়া হলো না তাদের। মালয়েয়িার স্বপ্ন ছিল মালয়েশিয়া যাবেন, ভালো বেতনে কাজ করে সংসারে ফেরাবেন সচ্ছলতা। আর সেই জন্য কেউ জমিজমা বন্ধক রেখে, কেউবা আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে টাকা জমা দিয়েছিলেন রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে। তবে তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে, লাখ লাখ টাকা জমা দিয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারলেন না ৩১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি। তাছাড়া ভিসাসহ সব প্রক্রিয়া শেষ করেও সময়ের মধ্যে প্লেনের টিকিট না পেয়ে যেতে পারেননি ৫ হাজার ৯৫৩ জন।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ঘিরে একটি চক্রের অপকর্মের জের ধরে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। শেষ সময় ৩১ মে মালয়েশিয়া যাওয়ার আশা নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিলেন লাখো মানুষ। তবে রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন এসব মানুষ।

শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক এসব মানুষ জানিয়েছেন, রিক্রুটিং কোম্পানিকে ৫-৬ লাখ টাকা দিয়েও মালয়েশিয়ায় যেতে পারলেন না তারা। শেষ মুহূর্তে বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারেননি অনেকে। কেউ কেউ তিন গুণ বেশি দামে টিকিট কিনেও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাজের অনুমতিপত্র না পেয়ে যেতে পারলেন না।

প্লেনের টিকিট না পেয়ে ঠিক কতজন যেতে পারলেন না, তার সঠিক হিসাব নেই সরকারি কোনো সংস্থার কাছে। তবে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার একটি সূত্র বলছে, টিকিট না পাওয়ায় ৫ হাজার ৯৫৩ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।

এছাড়াও ভিসা ও অনুমোদন জটিলতায় ৩১ হাজারের বেশি কর্মী আটকা পড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)।

বিএমইটির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কর্মী পাঠানোর আগে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়। এবার শ্রমবাজার চালুর পর মালয়েশিয়ায় যেতে ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ জন কর্মীর অনুমোদন নিয়েছে ১০১টি এজেন্সি। তাদের মধ্যে বিএমইটি থেকে শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ কর্মীর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ৩১ হাজার ৩০৪ জন কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া ভিসা পেয়েও যেতে পারেননি ৫ হাজার ৯৫৩ জন। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে গিয়ে জটিলতায় পড়েছেন আরও কয়েক হাজার। তাতে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মালয়েশিয়া যেতে একজন কর্মী গড়ে খরচ করেছেন ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। তার মানে ৪০ হাজার এই পরিমাণ করে টাকা দিয়ে রেখেছেন। এর বাইরে আরও অনেকে রিক্রুটিং এজেন্সি ও তাদের দালালদের হাতে মালয়েশিয়া যেতে টাকা জমা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেটে এক অনুষ্ঠানে বলেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সংকট তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না। এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করছে দূতাবাস ও মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৪:২৩ ● ১৩১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ