বঙ্গনিউজ : অবশেষে পিএসজি ছাড়তে যাচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এক ভিডিওবার্তায় নিজের পিএসজি ছাড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন এই ফরাসি তারকা। তার পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা না গেলেও ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তার চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পিএসজিকে এমবাপ্পে বিদায় জানালেও এখনো ক্লাবটির সঙ্গে তার সম্পর্ক পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। ২৫ মে ফ্রেঞ্চ কাপের ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে দুপক্ষের সম্পর্ক।
পিএসজির হয়ে বিদায়ী ম্যাচটি খেলতে এখনো বেশ কিছু সময় আছে এমবাপ্পের হাতে। ফলে এ সময়টা কাজে লাগিয়ে সোমবার বিদায়ী পার্টির আয়োজন করেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি তারকা। যেখানে তিনি সতীর্থ, ক্লাব স্টাফ, পরিবার এবং বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান।
এমবাপ্পের বিদায়ী পার্টি ইতালিয়ান রেস্টুরেন্ট গিগি প্যারিসে আয়োজিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লা পারিসিয়ান’। বিলাসবহুল এই রেস্টুরেন্টটি চ্যাম্পস–এলিস থিয়েটারে অবস্থিত এবং এখান থেকে আইফেট টাওয়ারে নান্দনিক দৃশ্যও উপভোগ করা যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জায়গাটি ‘লা মাইসন ব্লানচে’ নামেও পরিচিতি। স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ ‘লা কাসা ব্লাঙ্কা।’ যেটি তার ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ক্লাব রিয়ালের ডাকনামগুলোর একটিও বটে।
এমবাপ্পের এই বিদায়ী পার্টিতে ২৫০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় থাকলেও তিনি পার্টিতে আসেননি বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। এমবাপ্পের বিদায়ী পার্টিতে দেখা যায়নি পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে ও সভাপতি নাসের আল–খেলাইফিকেও। এর আগে প্যারিসে এমবাপ্পের শেষ ম্যাচের আগে খেলাইফির সঙ্গে তার ঝগড়ার বিষয়টিও সামনে আসে।
ক্লাবের কোচ ও সভাপতিকে দেখা না গেলেও পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন পিএসজি স্কোয়াডের বেশির ভাগ খেলোয়াড়। অনুষ্ঠানস্থলে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এমবাপ্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন তার মা ফাইজা লামারি। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আপনারা এরই মধ্যে জানেন, নাকি?’ তার এমন রহস্যময় উত্তরকে এমবাপ্পের রিয়ালে যাওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিদায়ী পার্টিতে বক্তব্যও দিয়েছেন এমবাপ্পে, ‘এখানে আমরা সবাই একই পরিবারের। যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন, তাদের সবাইকে আমি আপন মানুষ মনে করি। এখানে জানানোর মতো কোনো বার্তা নেই, কোনো অস্পষ্টতা নেই। আপনারা সেই মানুষ, যাদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই।’