বঙ্গ-নিউজ: ইসরায়েলি হামলার মুখে গাজার রাফাহ শহর ছেড়ে পালিয়েছেন অন্তত ৮ লাখ মানুষ। গত ১২ দিনে তারা পালাতে বাধ্য হন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা-ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। খবর আল আরাবিয়া ও এনডিটিভির।
জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক আপত্তি সত্ত্বেও উদ্বাস্তুদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত রাফায় পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে রাফার বাসিন্দারা।
ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি শনিবার (১৮ মে) সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ৬ মে গাজার দক্ষিণে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে রাফাহ শহরের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা অর্থাৎ, ৮০০০০০ মানুষ পালাতে বাধ্য হয়েছে।
লাজারিনি বলেন, রাফাহ এলাকায় আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশের পর সেখানে এই ৮ লাখ মানুষ গাজার খান ইউনিসসহ মধ্যবর্তী এলাকার বিধ্বস্ত ভবনগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে খাদ্য, পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার কোনো বালাই নেই।
গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে ও স্থল বাহিনীর অভিযানের মুখে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলের ১৫ লাখের মতো মানুষ পালিয়ে দক্ষিণের রাফাহ অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই উদ্বাস্তুদের ওপরই ফের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য রাফাহ এলাকায় স্থল হামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি গাজায় হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি।
স্থল অভিযান শুরুর আগে, ইসরায়েল শহটিরর পূর্বাঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া এক লাখ বাসিন্দাকে সরে যেতে বলেছিল। তখন এ অভিযানকে ‘সীমিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে আপাতদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলি হামলা আর সীমিত নেই।
শনিবার রাফাহ শহরে বিমান থেকে প্রচন্ড বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শহরের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধবিমানগুলোর বোমা হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলি ট্যাংক সমানতালে আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে একদিনেই সেখানে ৪৫ জন নিহত হয়েছে।