বঙ্গ-নিউজ: সোহেল হত্যা মামলার রায় দিল আদালত। জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার এ রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন আসামী আজিজ মোহাম্মদ ভাই। ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর ওই হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২৫ বছর পর এ রায় দিয়েছেন আদালত। কিন্তু কোথায় আজিজ মোহাম্মদভাই!
রহস্যময় এক ধনকুবের ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই। বিলাসী ও বেপরোয়া জীবনযাপনের জন্যও তিনি ছিলেন আলাদাভাবে পরিচিত। দেশের চলচ্চিত্র জগতে ছিল তার অবাধ যাতায়াত। ব্যবসার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের প্রযোজক হিসেবেও এক সময় আলোচিত ছিলেন তিনি।
শেয়ারবাজার লুট, খুন, নারী ঘটিত কেলেঙ্কারীসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত এক সময়ের ‘ডন’ আজিজ মোহাম্মদ ভাই দেশত্যাগ করেছেন আগেই। তাতে বহু বছর আলোচনায় না থাকলেও সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায়ের পর ফের আলোচনায় এসেছে তার নাম। প্রচার আছে, পরিবার নিয়ে আজিজ মোহাম্মদ বাস করছেন থাইল্যান্ডে।
রায়ের পর একটি গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে আজিজ মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই কথা বলেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই।
প্রথমেই সোহেল চৌধুরী হত্যায় নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আজিজ মোহাম্মদ বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের সময় দেশেই ছিলাম না আমি, সেখানে আমাকে কেন জড়ানো হয়েছে। আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার পাইনি আমি। কখনও দেশে ফিরে এলে সত্য প্রতিষ্ঠায় লড়াই চালাবো।
এখন কোন দেশে আছেন, থাইল্যান্ডে বাস করছেন বলে অনেকেই জানে– এমন প্রশ্নের জবাবে আজিজ মোহাম্মদ বলেন, ‘পৃথিবীতে বাস করার মতো অনেক জায়গা আছে। ধরে নিন, পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে আছি। এটা শুধু বলতে পারি। তবে থাইল্যান্ডে নেই। আমি ভালো আছি।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আজিজ মোহাম্মদ বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আমারও আছে। সুযোগ থাকলে অবশ্যই আপিল করবো। ২৫ বছর আগে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সব মিথ্যা।
১৯৯৮ সালের দিকে রাজধানীর বনানীর আবদিন টাওয়ারে ‘ট্রাম্পস ক্লাব’ নামে একটি ডিসকো ক্লাব গড়ে উঠেছিল। ক্লাবটির মালিক ছিলেন আজিজ মোহাম্মদের চাচাশ্বশুর বান্টি ইসলাম। ক্লাবের পাশেই থাকা একটি মসজিদের মুসল্লিদের পক্ষ নিয়ে ক্লাবটি বন্ধ করতে গিয়ে আজিজসহ মালিকপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান সোহেল চৌধুরী। দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ওই ট্রাম্পস ক্লাবে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর খুন হন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী।
তথ্য আছে, পরিবার নিয়ে থাইল্যান্ডে থাকেন আজিজ মোহাম্মদ। দেশে তাদের অলিম্পিক ব্যাটারি, বলপেন, অলিম্পিক ব্রেড ও বিস্কুট, এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস, সিনেমা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এমবি ফিল্মসহ বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মাঝেমধ্যে দেশে এসে এস ব্যবসা দেখভাল করেন আজিজ মোহাম্মদের স্ত্রী নওরিন ইসলাম করেন।