বঙ্গ-নিউজ: মিশরীয় সীমান্তে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে এখন পুরো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনিরা। ত্রাণ-সামগ্রী প্রবেশ নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
ফিলিস্তিনের ১৫ লাখ উদ্বাস্তুর শহর রাফায় পূর্বপরিকল্পিত সামরিক অভিযানে প্রস্তুত ইসরায়েল। আর তার অংশ হিসেবেই রাফাহ সীমান্তক্রসিং দখলে নিয়েছে তারা। রাফাহ ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও সেনাদের উপস্থিতির কারণে ফিলিস্তিনিরা এবার পুরোই অবরুদ্ধ।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, রাফাহ ক্রসিংয়ের গাজার দিকের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ এখন ইসরায়েলি সেনাদের হাতে। কেরেম সালোম সীমান্তক্রসিংও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গাজার সব সীমান্তক্রসিং ইসরায়েলের সঙ্গে। একটিমাত্র ক্রসিং রাফাহ মিশরের সঙ্গে। আর এটিকে গাজার লাইফলাইন হিসেবে দেখা হয়। এই সীমান্ত পথ দিয়েই গাজার অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ পৌছে দিচ্ছিল জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা।
গাজার রাফাহ ক্রসিং ইসায়েলের নিয়ন্ত্রণ দাবির খবরে উদ্বেগ জানিয়েছে ফিলিস্তিনে শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থা, ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থাটির আশঙ্কা, এতে গাজার বেসামরিকদের নাগরিকদের জন্য সাহায্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।
ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র লুইস ওয়াটারিজ বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এখন আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে সীমান্ত অতিক্রম করা এবং গাজায় পর্যাপ্ত সাহায্য পৌঁছে দেওয়া।
এমন পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবে হামাস রাজি থাকলেও তা বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। আজ মঙ্গলবার অব্যাহত হামলার সাত মাস পূর্ণ হয়েছে। এই ৭ মাসে গাজায় ৩৪,৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৮ হাজার।