বঙ্গ-নিউজ: দেশে বর্তমানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে বেকার রয়েছেন ২৫ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। চলতি বছর আগের বছরের তুলনায় দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। কমেছে বেকার নারী। ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ) শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আজ সোমবার চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে (জানুয়ারি- মার্চ) দেশের শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে। জরিপে বেকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়, দেশে শ্রমশক্তি হিসেবে বিবেচিত নারী-পুরুষ আছেন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার। তাদের মধ্যে কর্মে নিয়োজিত রয়েছেন ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার।
বিবিএসের হিসেবে, দেশে এখন বেকার ২৫ লাখ ৯০ হাজার। তাদের মধ্যে পুরুষ বেকার ১৭ লাখ ৪০ হাজার এবং নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার।
বিবিএসের তথ্য মতে, ২০২৩ সাল শেষে দেশে বেকার সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। সেই হিসেবে নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশে বেকার বেড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার। যদিও আগের বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ) হিসেবে দেশে বেকার বাড়েনি। কেননা, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিক শেষে দেশে বেকার ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার।
চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে দেশে পুরুষ বেকার ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের মার্চ শেষে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার। সে হিসেবে বেকার পুরুষ বেড়েছে ৩০ হাজার। অন্যদিকে গত বছরের মার্চ শেষে নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৮০ হাজার। এবার মার্চ শেষে নারী বেকার ৮ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ. আগের বছরের তুলনায় নারী বেকার কমেছে ৩০ হাজার।
বিবিএস বলছে, বর্তমানে দেশে গড় বেকারের হার ৩.৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকার হারের চেয়ে সামান্য বেশি। গত বছর গড় বেকারের হার ছিল ৩.৩৬ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সূত্র অনুযায়ী, যারা টানা এক সপ্তাহ ধরে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টাও কাজ করার সুযোগ পাননি এবং বিগত এক মাস ধরে কাজের প্রত্যাশী ছিলেন, তারা বেকার হিসেবে পরিগণিত হবেন। আইএলও’র এই নিয়ম অনুসারেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে বিবিএস।
বিবিএস বলছে, দেশে শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল একটি জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। দেশে এমন জনগোষ্ঠী ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তারা মূলত ছাত্র, বয়স্ক নারী-পুরুষ, অসুস্থ ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কোনো কর্মে নিয়োজিত নেই বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।