বঙ্গ-নিউজ: গাজার রাফাহ শহরের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা খালি করে দেওয়ার জন্য বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ওই অঞ্চলের অন্তত এক লাখ বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হবে। তা না হলে নিজেদের বিপদে ফেলবে। আগের রাতেই রাফাহ শহরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর রাফাহতে অন্তত ১৪ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বেশির ভাগই গাজার অন্যান্য স্থান থেকে ইসরায়েলি হামলায় ঘরবাড়ি হারানো উদ্বাস্তু। বেশির ভাগ মানুষই এই রাফাহ শহরে থাকছে তাঁবু টানিয়ে। এবার সেই রাফাতেই পুরোমাত্রায় অভিযান চালাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
পরিকল্পিত অভিযানের আগে রাফাহ শহরে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিফলেট ফেলছে ইসরায়েল। আইডিএফ বলছে, রাফাহ শহরে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অভিযান চালানো হবে। এই সীমিত আকারে অভিযানে আগে অন্তত এক লাখ মানুষকে ওই এলাকা ছাড়তে হবে।
বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। লিফলেটের লাল ও নীল রঙের লেখায় বলা হয়েছে, আইডিএফের চালানো নির্দিষ্ট অভিযান এলাকায় কেউ অবস্থান করলে তারা নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের বিপদে ফেলবে।
লিফলেটে রাফাহ শহরের বাসিন্দাদের খান ইউনিস ও আল-মাওয়াসি এলাকায় কথিত ‘মানবিক এলাকা’য় সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নীল লেখায় বলা হয়েছে, সেখানে নিরাপদ জোন সম্প্রসারণ করা হয়েছে এবং সেখানে মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, কেউ যেন গাজার উত্তরে বা পূর্ব ও দক্ষিণের ওয়াদি গাজায় না যায়।
এদিকে ইসরায়েলি এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ বলেছে, রাফাহতে ইসরায়েলি আক্রমণের অর্থ আরও বেসামরিক দুর্ভোগ এবং মৃত্যু। এই হামলা ১৪ লাখ মানুষের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।
জাতিসংঘ সংস্থাটি একইসঙ্গে ঘোষণা দিয়েছে, রাফাহ থেকে তারা সরে যাবে না। যতদিন সম্ভব রাফাতে উপস্থিতি বজায় রাখবে এবং মানুষের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান চালিয়ে যাবে।