বঙ্গনিউজঃ খাতা-কলমে রাজধানীতে গতকাল রোববার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে, ইটস ফিল লাইক ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ গরম অনুভূত হচ্ছে বাস্তব তাপমাত্রার তুলনায় প্রায় ২ ডিগ্রি বেশি। গুগলে কোনো নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা জানতে চাইলে সবার ওপরে দেখায় সেই হিসাব।
তবে তাপমাত্রার ঠিক নিচে ছোট করে লেখা থাকে, ‘ফিল্স লাইক’। সেখানে দেওয়া থাকে তাপমাত্রার আরেক হিসাব। কিন্তু কী এই ফিল লাইক? কেনইবা তাপমাত্রার হিসাবের সঙ্গে তা আলাদা করে দেওয়ার প্রয়োজন হয়? কীভাবে এটি মাপা হয়?
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাপমাত্রার ফিল লাইক মাপা হয় কোনো এলাকার সম্ভাব্য তাপমাত্রার পূর্বাভাস, ওই এলাকার আর্দ্রতা এবং বাতাসের গতিবেগ অনুসারে। তাপমাত্রা বলতে বোঝায়, কোনো নির্দিষ্ট এলাকার বাতাসের তাপমাত্রা। কিন্তু রাস্তাঘাটে বের হলে শুধু বাতাস নয়, আরও কিছু বিষয় তাপমাত্রায় প্রভাব ফেলে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, গ্রীষ্মকালে ফিল লাইক তাপমাত্রাকে হিট ইনডেক্স বা তাপসূচক বলে। তাপসূচক হলো, বায়ুর তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্পের মিশ্রণ বিবেচনা করে আমাদের দেহে আবহাওয়া কতটা গরম অনুভব করাবে তার পরিমাপ। এর মানে, গ্রীষ্মের এমন দিনে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে তাপসূচক প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে বেশি হবে। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ৪০ শতাংশ আর্দ্রতায় অনুভূত হতে পারে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, ফিল লাইক পরিমাপের সময় ভূমি থেকে পাঁচ ফুট ওপরের হাওয়ার গতি মেপে দেখেন আবহাওয়াবিদরা। সেই হিসাব প্রকাশ করা হয়। গুগলেও তাই লেখা থাকে।