স্ত্রীর অভিযোগ অধ্যাপক স্বামীর বিরুদ্ধে

Home Page » শিক্ষাঙ্গন » স্ত্রীর অভিযোগ অধ্যাপক স্বামীর বিরুদ্ধে
বুধবার ● ২৭ মার্চ ২০২৪


স্ত্রীর অভিযোগ অধ্যাপক স্বামীর বিরুদ্ধে

বঙ্গনিউজঃ  সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার। ১৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর রোকসানা লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

রোকসানার দুই পাতার অভিযোগপত্রের ফটোকপি হাতে এসেছে। এতে বলা হয়-২০০৩ সালে সাভারে বিএলআরআইয়ে মাসুদুর রহমান কর্মরত থাকা অবস্থায় ভালোবেসে তারা বিয়ে করেন। সে বছরই সিলেট ভেটেরিনারি কলেজে শিক্ষক হিসাবে মাসুদুর রহমান যোগদান করেন। তাদের ২১ বছরের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিজ কক্ষে মাসুদুর রহমান এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে অমানবিক নির্যাতন, সন্তানদের গায়ে হাত তোলা, সংসারে টাকা-পয়সা না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অনুষদের একাডেমিক ভবন-২ এর দ্বিতীয়তলায় একটি কক্ষে ড. মাসুদুর রহমান ও এক নারীকে অশালীন অবস্থায় তিনি দেখতে পেয়েছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে একাডেমিক ভবনে তাকে শারীরিক লাঞ্ছিত করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের সামনে তাকে দোতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত টেনেহিঁচড়ে নিচে নামানো হয়। রোকসানার আরও অভিযোগ-মাসুদুর রহমান বাসায় না থেকে বান্ধবীকে নিয়ে সিলেটের বিভিন্ন হোটেলে রাত্রি যাপন করেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি ভবনেও তিনি বান্ধবীকে রাখেন।

লিখিত অভিযোগে রোকসানা জানান, আগেও এক বান্ধবীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও পাঠিয়ে তালাক দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করা হয়। সেসব ভিডিও ছেলেমেয়েরা দেখে ফেলে এবং প্রশ্ন করলে সন্তানদেরও গায়ে হাত তোলা হয়। তার অভিযোগ, সংসারে কোনো টাকা-পয়সা না দেওয়ায় খুব কষ্টে ছেলেমেয়েকে নিয়ে তিনি দিন কাটাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে আচার বানিয়ে তা বিক্রি করতে হচ্ছে।

স্ত্রীর অভিযোগ সম্পর্কে অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান জানান, যা বলার তা তদন্ত কমিটির কাছেই বলব। এছাড়া তার কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ খুবই স্পর্শকাতর। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২১:৪১ ● ১৫১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ