ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ তৌছিফুর রহমান একজন প্রতিভাবান ও মানবদরদী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হিসাবে সুপরিচিত। তার জন্ম ১৯৮৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন পোড়াদহ ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তাঁর পিতা মরহুম অধ্যাপক তবিবুর রহমান, তিনি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও পোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক। মাতা মোছা: মর্জিনা খাতুনও একজন শিক্ষানুরাগী বিদুষী নারী। পিতার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে তিনি পোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি (২০০৫) ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএস সিতে (২০০৭) জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, ঢাকাতে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পান ২০০৭ সালে। এমবিবিএস শেষ করার পর তিনি নিজেকে মানবিক কাজে নিয়োজিত করেন, পিতা-মাতা ও সহধর্মিনী খালেদা ইফায়েত নূরীর প্রত্যক্ষ অনুপ্রেরণায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক । কন্যা তাশরিফা ইফতিন তৌশি ও পুত্র তাবশীর তাহান। বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসা অপ্রতুল ও রোগীরা খুবই অবহেলিত, নিঃসঙ্গ ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হবার এবং ক্যান্সার রোগীদের জন্য অনুকূল পরিবার ও সমাজ সংস্কারের। একই সাথে তাঁর ইচ্ছা বিদেশমুখীতা কমিয়ে দেশেই উন্নত ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
এরপর ক্যান্সার বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী এমডি (অনকোলজি) সম্পন্ন করেন ও স্কয়ার হাসপাতাল ক্যান্সার সেন্টার পান্থপথ, ঢাকায় যোগদান করেন ২০২১ সালে। সেখানে তিনি কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি ও টার্গেটেডথেরাপি নিয়ে কাজ করেন এবং উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করেন। প্রায় দেড় বছর কাজ করার পর সহকারী অধ্যাপক হিসাবে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও ক্যান্সার সেন্টারে যোগদান করেন। ডাঃ মোঃ তৌছিফুর রহমান দীর্ঘ প্রায় ১০ (দশ) বছর ধরে ক্যান্সার চিকিৎসায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও ক্যান্সার বিষয়ক লেখক হিসাবে তিনি দেশী বিদেশী পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও জার্নালে নিয়মিত লিখে থাকেন ।
তিনি একাধারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, লেখক, গবেষক ও সমাজ সংস্কারক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ডাঃ মোঃ তৌছিফুর রহমান বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় কার্যকর উন্নতি চান। এজন্য তিনি ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যয় কমানো ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্যান্সার সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ক্যান্সার নিরাময় ও প্রতিরোধের ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা ও গবেষণা করে তিনি ২০২৪ এর বইমেলায় “ক্যান্সার সচেতনতায়ই মুক্তি” নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন । যেখানে তিনি শ্লোগান তুলেছেন ” ক্যান্সার ভয়, আর নয়! বিজয়ীর বেশে লড়লেই হবে ক্যান্সারের পরাজয়!!’