বঙ্গ-নিউজ:যুদ্ধ চলছে রাশিয়ায় । তার মধ্যেও আগামীকাল শুরু হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিন দিনব্যাপী ভোটাভুটি। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পুতিনই ফের বিজয়ী হতে যাচ্ছেন এবং আরও ছয় বছর ক্ষমতাসীন থাকছেন। কেননা, তার শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে নেই, যারা রয়েছেন তারা তারই অনুসারী হিসেবে পরিচিত। খবর রয়টার্সের।
রুশ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তিনটি টাইমজোনে থাকা রাশিয়ায় ১৫মার্চ শুরু হয়ে ১৭ মার্চ পর্যন্ত এই তিনদিন ভোট হবে। রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড এবং ইউক্রেনের দখলকৃত ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক-লোহানস্ক মিলিয়ে এবার ভোটার ১১ কোটি ২৩ লাখ। এছাড়া বিদেশে থাকা আরও ১৯ লাখ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। এরমধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট কাস্টের আশা নির্বাচন কমিশনের।
এবার পঞ্চম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আশা নিয়েই নির্বাচনে লড়ছেন ৭১ বছরের পুতিন। নির্বাচনে জিতলে আরও ৬ বছর ক্ষমতায় আসীন হবেন বিগত ২৪ বছর ক্ষমতায় আকড়ে থাকা পুতিন। ১৯৯৯ সাল থেকেই দফায় দফায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদে ক্ষমতায় আছেন তিনি।
আজীবন ক্ষমতায় থাকতে ইচ্ছুক পুতিন নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীকেই সহ্য করছেন না। অভিযোগ রয়েছে, তার প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কেউ মাঠে নেই। নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত যারা রয়েছেন, তারা সবাই কোনো না কোনো ভাবে পুতিনের অনুগত-অনুসারী।
এবারের নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেশ কয়েজন প্রার্থী। তালিকা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন ন্যাশনালিস্ট লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লিওনিদ স্লাতস্কি, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা নিকোলাই খারিতোনভ এবং নিউ পিপলস পার্টির ভ্লাদিস্লাভ দাভানকোভ।
তবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরোধিতা করায় জনপ্রিয় দুই প্রার্থীকে নির্বাচনে অবৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা হলেন বরিস নাদেজদিন এবং ইয়েকাতেরিনা দুন্তসোভা।
এবার নির্বাচনে যুদ্ধবিরোধী একটি প্ল্যাটফর্মের হয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রখ্যাত নারী সাংবাদিক ইয়েকাতেরিনা। তিনি বরাবরই ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় কৌশলে ইয়েকাতেরিনার প্রার্থিতা নিষিদ্ধ করেছে রুশ নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, তার আবেদন ফরমে অন্তত ১০০টি ‘ভুল’ পাওয়া গেছে।
এছাড়া পুতিনের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন, এমন একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন আলেক্সেই নাভালনি। পুতিনবিরোধী এই নেতা সম্প্রতি কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন। যদিও অভিযোগ ওঠেছে, নাভালনিকে মেরে ফেলা হয়েছে পুতিনের নির্দেশে।