বঙ্গ-নিউজ: ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়া উপকূলের কাছে নিয়ে নোঙ্গর করেছে দস্যুরা। তবে এখনো জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দস্যুদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়নি। তাছাড়া নাবিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে মালিক কর্তৃপক্ষের।
সাগরে জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর (আইএমবি) কাছ থেকে জাহাজটির অবস্থানের কিছুটা তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশে নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন(বিএমএমওএ)।
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সোমালিয়ার গ্যারাকাড এলাকা থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি থামিয়েছে জলদস্যুরা।
আইএমবির তথ্যমতে, এর আগে সকাল ৬টার দিকে জাহাজটি গ্যারাকাড উপকূল থেকে প্রায় ৭২ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
ভারত মহাসাগরে গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছিল।
সোমালিয়া উপকূলের প্রায় ৭০০ মাইল দুরে অবস্থানকালে জাহাজটির ২৩ নাবিক-ক্রুকে জিম্মি করে জলদস্যুরা কার্গোশিপটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জাহাজটি জলদস্যুদের হাতে পড়ার কথা প্রথম জানায় ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি আমব্রেই। বুধবার তারা জানায়, ২০ জনের মতো সশস্ত্র জলদস্যু বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটি এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করেছে।
পরে বুধবার সন্ধ্যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্স জানায়, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র পিছু নিয়েছিল ইইউর সমুদ্র নিরাপত্তা বাহিনী অপারেশন আটলান্টার একটি যুদ্ধজাহাজ।
ইইউর বিবৃতিতে জানানো হয়, ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রুসহ জাহাজটিকে জিম্মি করে জলদস্যুরা মোগাদিসুর উপকূলের দিকে যাচ্ছে। জিম্মি নাবিক-ক্রুরা নিরাপদে আছেন।
এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামের কবির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিল (কেএসআরএম) গ্রুপের মালিকানাধীন কোম্পানি এসআর শিপিং লাইনস।
এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জলদস্যুরা এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করেনি। তাছাড়া জিম্মি নাবিকদের সঙ্গেও আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, জলদস্যুদের যোগাযোগ প্রক্রিয়া শুরু হলে জিম্মি নাবিক-ক্রুদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।