বঙ্গনিউজঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র দুই মাস পর আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
কুমিল্লায় শুধু মেয়র পদে ভোট হচ্ছে। অন্যদিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ চলছে।
প্রচারণার শুরু থেকেই মেয়র প্রার্থীদের অনেকেই দুই সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত সংসদ নির্বাচনে কাগজের ব্যালটে ভোট হলেও আজ ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে কিছু জায়গায় ভোটারদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থী ঘোষণা না করায় দুই সিটির নির্বাচন খুবই ‘নির্দলীয়’ হতে যাচ্ছে। মেয়র নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা ও ময়মনসিংহে তিনজন প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাচনে অংশ না নিলেও কুমিল্লা নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় রয়েছে বিএনপি
ময়মনসিংহে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও কুমিল্লায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বহিষ্কৃত দুই বিএনপি নেতা। ফলে কুমিল্লায় জয়-পরাজয় নির্ধারণে বিএনপির ভোটাররাও ভূমিকা রাখবে বলে আলোচনা রয়েছে। অন্যদিকে ময়মনসিংহ নগর আওয়ামী লীগে রয়েছে দুটি দল। দুই দলের প্রার্থী থাকায় দলীয় কোন্দলের বিষয়টি সামনে এসেছে।
দুই সিটির নির্বাচনী প্রচারণায় বড় ধরনের কোনো হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে চার প্রার্থীর মধ্যে তিনজন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিরপেক্ষতা ও নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন। ভোটারদের ভয়ভীতি, ভয়ভীতি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনসহ সারাদেশে স্থানীয় সরকারের (পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ) বিভিন্ন স্তরে আজ মোট ২৩১টি নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।