বঙ্গনিউজঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ তিন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ‘বি’ ইউনিটের গ্রুপ-২ এর অ-বাণিজ্যের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। তিন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মতো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করব। এজন্য যে যার মতো কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা ১০ দিনের কম সময়ে ফল প্রকাশ করব।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ভর্তি পরীক্ষার মোট আবেদন সংখ্যা এবং পরীক্ষার নিয়মাবলী সম্পর্কে সংবাদকর্মীদের অবহিত করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রমানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার শেষদিনের ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিটের গ্রুপ-৫ এর পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৭৭ জন এবং ‘বি’ ইউনিটের গ্রুপ-১ (বাণিজ্য)-এ ১৫ হাজার ৬২৫ জন ও গ্রুপ-২ (অ-বাণিজ্য)-এ ১৮ হাজার ৯১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল সি ইউনিটের অ-বিজ্ঞান গ্রুপে ৯৫.৩৩; বি ইউনিটের বাণিজ্য গ্রুপে ৯১.৮৪ ও অ-বাণিজ্য গ্রুপে ৮৭.৩২ শতাংশ।
তিন দিনব্যাপী এই ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা প্রদানের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সতর্কতামূলক পদক্ষেপের ফলে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রকার জালিয়াতি বা কারসাজির ঘটনা ঘটেনি। এবার ভর্তিচ্ছুদের নিবন্ধনের শুরু থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কোনোরূপ অসদুপায় অবলম্বন রোধ করা গেছে।
উল্লেখ্য, এবার বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিশেষ কোটাসহ মোট ৪ হাজার ৪৩৮টি আসনের বিপরীতে মোট চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮০টি। এর মধ্যে বুধবার ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ হাজার ৭৮৫টি আবেদনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রায় ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী, মঙ্গলবার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৬ হাজার ৩৫৪টি আবেদনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৮২.১ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং শেষ দিন বৃহস্পতিবার ‘সি’ ইউনিটের গ্রুপ-৫ এবং ‘বি’ ইউনিটের বাণিজ্য ও অ-বাণিজ্য গ্রুপের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মোট ৯১.৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী।