বঙ্গনিউজঃ অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও চার লেন সড়কে চলমান কাজের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা।
আজ বুধবার সকাল থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব হতে রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা ও বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
অপরদিকে, যানজটের কারণে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী অসংখ্য যানবাহন বিকল্প সড়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করছে। এতে পাথাইলকান্দি, সিরাজকান্দি, মাটিকাটা, গোবিন্দাসী স্কুল রোড, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড, সিংগুরিয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশন এলাকায় সকালে দেখা গেছে, মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার দুই লেনেই পরিবহনের চাপ রয়েছে। তবে, এলেঙ্গা হতে ঢাকাগামী লেনে তেমন পরিবহন নেই।
যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গগামী এবং ঢাকাগামী পরিবহনগুলো এলেঙ্গা হতে ভূঞাপুর-তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে সেতু গোলচত্ত্বর হয়ে চলাচল করছে।
বগুড়াগামী থেকে কাঁচামালবাহী ট্রাকচালক কদ্দুস হোসেন বলেন, ‘সেতু পশ্চিমে টোল দিয়ে এসেই কাঁচামাল নিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে সেতু পূর্ব গোল চত্বর এলাকায় আটকে আছি। যথা সময়ে আড়তে কাঁচামাল পৌঁছাতে কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে কয়েকগুণ গাড়ির চাপ বেশি।’
গাবতলী থেকে আসা রংপুরগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী হাসান আলী, রত্না বেগমসহ অনেকে বলেন, ‘দীর্ঘসময় ধরে যানজটে আটকে আছি। সড়কে এলোমেলো গাড়ি চালানো ও চার লেনের কাজ চলমান থাকায় এমন যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে শুনেছি ‘
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেশি। সেই সঙ্গে এলেঙ্গা থেকে সেতু পূর্ব পর্যন্ত দুই লেনে সড়কে পরিবহনের ধীরগতি হলেই ট্রাকচালকরা ঘুমিয়ে যান। এতে পেছনের গাড়ির চালক মনে করেন, সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও জানান, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত চার লেন সড়কের কাজ চলছে, ফলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।তবে, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কমে আসবে।