বঙ্গনিউজঃ কিং ফাহাদ স্পোর্টস সিটিতে রোববার সন্ধ্যায় অনুশীলনে নামতে গিয়ে একটু অবাকই হয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। সৌদি আরবে যেখানে গরম থাকে, সেখানে তায়েফ শহরে সন্ধ্যায় ঠান্ডা অনুভব করেছেন তারা। আর এই ঠান্ডাতে কিছুটা সমস্যায় পড়েছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল।
মার্চে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে ক্যাম্প করেছে জাতীয় ফুটবল দল। ২ মার্চ ভোরে সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর রোববার সন্ধ্যায় অনুশীলনে নামেন ফুটবলাররা। ঠান্ডা ও বাতাসের মধ্যে এক ঘণ্টা পর্যন্ত অনুশীলন করেন রাকিব হোসেন-তপু বর্মণরা।
‘তায়েফের আবহাওয়া সৌদি আরবের অন্য শহর থেকে একটু ভিন্ন। এখানে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, কিছুদিন আগে নাকি আরও বেশি ঠান্ডা পড়েছিল’– সৌদি আরব থেকে বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় বলেন জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান। তবে এই আবহাওয়ায় খুব একটা সমস্যা দেখছেন না ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। তাঁর মতে, আবহাওয়া অনেকটা বাংলাদেশের মতোই, ‘রাতে হালকা ঠান্ডা পড়ছে এখানে। প্রথম দিনের অনুশীলন ভালো হয়েছে। আশা করি, এখানে প্রস্তুতিটা ভালো নিতে পারব।’
২১ মার্চ কুয়েতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ খেলার আগে ১৭ মার্চ পর্যন্ত সৌদি আরবে অনুশীলন করবে দল। মূলত উন্নত প্রশিক্ষণের জন্যই মধ্যপ্রাচ্যের দেশে যাওয়া। সেখানকার অনুশীলনের পরিবেশ এবং সুযোগ-সুবিধা দেখে খুশি কোচ ক্যাবরেরা, ‘এখানে বেশ সুন্দর পরিবেশ ও অনুশীলন ব্যবস্থা। আমাদের খেলোয়াড়রাও উপভোগ করছে। আজকের (রোববার) অনুশীলন অনেকের জন্য প্রায় সপ্তাহখানেক পর (প্রিমিয়ার লিগ শেষে বিরতির পর) হয়েছে। আশা করছি, পরিস্থিতির সঙ্গে সবাই খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।’
গত বছর জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ছিল আশাব্যঞ্জক। ২০২৪ সালে এই প্রথম একসঙ্গে এক ছাদের নিচে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম-বিশ্বনাথ ঘোষরা। ২০২৩ সালের মতো এ বছরও দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রত্যয় রহমত মিয়ার, ‘গত বছর যেখানে শেষ করেছি, এবার সেখান থেকে শুরু করতে চাই। এ বছরে আরও একটু ভিন্ন উচ্চতায় যেতে পারি। এ জন্য আমাদের সবাইকে ডিটারমাইন্ড থাকতে বলেছেন কোচ।’