বঙ্গ-নিউজ: গাজায় এক সপ্তাহের মধ্যেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হবে বলে আশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সোমবার এ কথা জানান বাইডেন। একটি ইসরায়েলি সামরিক প্রতিনিধি দল যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে নিবিড় আলোচনার জন্য কাতারে গেছে- এমন খবর প্রকাশের পরই আশার কথা জানালেন বাইডেন। খবর আল জাজিরার।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমি আশা করছি, আগামী সোমবারের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে। দুই পক্ষের শত্রুতা বন্ধ করতে এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে আলোচনায় গতি এসেছে।
গতকাল নিউইয়র্কের একটি আইসক্রিমের দোকানে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে আইসক্রিম খেতে দেখা যায়। এ সময় সাংবাদিকরা বাইডেনের কাছে জানতে চান, গাজায় কখন যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে?
জবাবে বাইডেন জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আশা করছেন তিনি। বাইডেন বলেন, আমরা এখন সপ্তাহান্তের শুরুতে আছি, সপ্তাহান্তের শেষে যুদ্ধবিরতির আশা করছি।
বাইডেন আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আমরা কাছাকাছি আছি। আমরা আশা করছি আগামী সোমবারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি আলোচনা হচ্ছে কাতারের দোহায়। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে গাজায় মানবিক ত্রাণ পাঠাতে ইসরায়েলি অনুমতি এবং হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি।
ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক প্রতিনিধি দল নিবিড় আলোচনার জন্য কাতারে গেছেন। এর আগে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি আলোচনা হয়েছে, সেখানে হামাসের প্রতিনিধিরা ছিলেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ইসরায়েল, মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা সপ্তাহান্তে প্যারিসে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির রূপরেখা নিয়ে একটি বোঝাপড়া করেছেন।
মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র জানায়, প্যারিস বৈঠকের পথ ধরে প্রথমে কাতার এবং পরে কায়রোতে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি বৈঠক হবে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সোমবার দেখা করেছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। তারা গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে এবং টেকসই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।