বঙ্গ-নিউজ: রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে এবং কারাবন্দি বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনির মৃত্যুর প্রতিবাদে রাশিয়ার ৫০০ ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে গতকাল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার মির পেমেন্ট সিস্টেম, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং রুশ সামরিক শিল্প-কারখানা, নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দেওয়া প্রতিষ্ঠান, ভবিষ্যত জ্বালানি উৎপাদন শিল্পসহ আরও বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, শুক্রবার রাশিয়ার নেতৃস্থানীয় জ্বালানি ট্যাঙ্কার গ্রুপ, সোভকমফ্লোটের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সোভকমফ্লোট রাশিয়ান তেলের ওপর জি৭ এর আরোপিত মূল্যসীমা লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়াও ১৪টি অপরিশোধিত তেল ট্যাঙ্কার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, সোভকমফ্লট সামগ্রিকভাবে, একটি মূল কোম্পানি হিসাবে প্রতারণামূলক কার্যকলাপ ছাড়াও তেলের মূল্যসীমা লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত।
এছাড়া নাভালনির মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত কারা কর্মকর্তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাইবেরিয়ার একটি কারাগারে মারা যান রুশ বিরোধী নেতা নাভালনি। তাকে পুতিনের নির্দেশে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে কতটা বিরুপ প্রভাব ফেলবে, সেটি স্পষ্ট নয়।
তবে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এসব নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ও দেশে দমন-পীড়নের দায়ে পুতিনকে আরও বেশি খেসারত দিতে বাধ্য করবে।
বাইডেন বলেন, পুতিন দুই বছর আগে ইউক্রেনকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে দিতে আগ্রাসন শুরু করেছেন। পুতিনকে যদি তার এসব ধ্বংসযজ্ঞ ও মৃত্যুর জন্য মূল্য চুকাতে না হয়, তাহলে তিনি এমনটি চালিয়েই যাবেন।
এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে থোরাই কেয়ার করছে রাশিয়া। ওয়াশিংটনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেছেন, ওয়াশিংটন বুঝতে পারছে না যে এসব নিষেধাজ্ঞা আমাদেরকে একচুলও বিচ্যুত করবে না।