বঙ্গ-নিউজ: নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। বাক স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সের মালিককে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন নরওয়েজিয়ান সংসদ সদস্য মারিয়াস নিলসেন।
নরওয়ের এই আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, সংলাপ, বাকস্বাধীনতা এবং নিজের মতামত প্রকাশের সম্ভাবনার অটল প্রতিরক্ষার জন্য মাস্ককে তিনি বেছে নিয়েছেন। মারিয়াস নিলসেন বলেছেন, মাস্কের প্রযুক্তি সংস্থাগুলো বিশ্বকে আরও সংযুক্ত এবং নিরাপদ জায়গা করে তুলতে সহায়তা করেছে।
প্রসঙ্গত, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের পরিচয় পুরস্কার প্রদানের ৫০ বছর পরে প্রকাশ করা হয়। অবশ্য নোবেল পুরস্কারের জন্য কাউকে মনোনীত করার ক্ষমতা রয়েছে নিলসেনের।
প্রগ্রেস পার্টির প্রতিনিধিত্বকারী মারিয়াস নিলসেন, দুই বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর দেশটিতে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিসেবা দেওয়ার জন্য মাস্ককে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ইন্টারনেট পরিসেবা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে যোগাযোগ, সমন্বয় এবং রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে।
নিলসেন স্থানীয় গণমাধ্যম অ্যাগডারপোস্টেনকে বলেছেন, ‘মাস্ক অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ এবং সংযোগ স্থাপন করার পাশাপাশি সমাজের উন্নতি,পৃথিবী ও মহাকাশ সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করা যায়। তার মালিকানাধীন বা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বকে আরও সংযুক্ত এবং নিরাপদ জায়গা করে তুলতে সাহায্য করেছে।’
এদিকে নরওয়ের সাংসদ সোফি মারহাগ নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মনোনীত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অ্যাসাঞ্জ পশ্চিমাদের যুদ্ধাপরাধ প্রকাশ করেছেন এবং এর মাধ্যমে শান্তিতে অবদান রেখেছেন। আমরা যদি যুদ্ধ এড়াতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই যুদ্ধের ক্ষতি সম্পর্কে সত্য জানতে হবে। অ্যাসাঞ্জ যুদ্ধবন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণ এবং নির্যাতনের কথা প্রকাশ করেছেন। ফলে তিনি শান্তি পুরস্কারের যোগ্য।’
এর আগে গত জানুয়ারিতে মার্কিন কংগ্রেসওম্যান ক্লডিয়া টেননি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিলেন। বিগত বছরগুলোতেও এই পুরস্কারের জন্য তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
সূত্র: এনডিটিভি