বঙ্গনিউজঃ চুরির মামলায় জেলা কারাগারে থাকা মিঠু মিয়া (৪০) নামের এক আসামির হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করে তাকে মারা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তির পর রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মিঠু মিয়া দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে। তিনি দামুড়হুদা থানার মামলার আসামি ছিলেন। পরিবারের দাবি চুরির অপবাদ দিয়ে গণপিটুনি ও নির্যাতন করে তাকে মারা হয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
মিঠু মিয়ার বড় ভাই বাবলু, বোন দলিয়ারা খাতুন, দুলাভাই ছুরাপ হোসেন, চাচা আব্দুল হান্নান ও প্রতিবেশী বাবু জানান, মিঠু রাজমিস্ত্রির কাজ করত। ঘটনার রাতে সে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মোবাইলে কথা বলছিল। একপর্যায়ে গ্রামের শেষ পাড়ার কয়েকজন তাকে ধরে বেধড়ক মারধর করে ও রাস্তায় ফেলে সর্বাঙ্গে নির্যাতন করে। পরে তাকে ভগিরথপুর গ্রামের ইকতার মেম্বারের বাড়িতে আটকে রাখে। খবর পেয়ে আমরা মেম্বারের বাড়িতে গেলে আমাদের সঙ্গে তাকে দেখা করতে ও কথা বলতে দেয়নি। পরে তাকে ভগিরথপুর ক্যাম্প পুলিশের কাছে দেওয়া হয়।
মিঠুকে ক্যাম্পে দেওয়ার পর তার দুলাভাই ছুরাপ হোসেন তার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় মিঠুর কান ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল বলে জানান তিনি।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ভ্যান চুরির অভিযোগে স্থানীয়রা মিঠু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আটক করে। পরদিন সকালে তাকে চুরির মামলায় আদালতে পাঠানো হয়।