বঙ্গনিউজঃ সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির বিন্দু ও তার সহযোগীদের মারপিটে পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সোহান নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে তার সমর্থকরা ঘোষপাড়া, কাঁঠালবাড়ী ও পাঁচগাছি এলাকায় সড়ক অবরোধ করলে দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনার মূলহোতা রেজভী কবির বিন্দুকে পুলিশ আটক করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শুক্রবার রাত ৭টার দিকে হামলার শিকার শরিফুল ইসলাম সোহানকে (৪০) কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের খলিলগঞ্জ এলাকার অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে একটি প্রাইভেটকার দাঁড়িয়েছিল। এ সময় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতা সিয়াম ও রিয়াদের দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপের পাশে পড়ে গিয়ে দুজনে আহত হন।
এ ঘটনার জের ধরে পরে জিপে থাকা শরিফুল ইসলাম সোহানসহ অপর দুইজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এ খবর পেয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থলে এসে জিপে থাকা শরিফুল ইসলাম সোহানকে মারধর করেন। এ সময় শরিফুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরিফুল ইসলাম সোহান ঘোষপাড়া হাটিরপাড় এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে এবং জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য ও কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন মোটর মালিক সমিতি, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত রেজভী কবির বিন্দুকে আটক করছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত মূল আসামি পুলিশ হেফাজতে আছে। নিহতের স্বজনরা থানায় আছেন; হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কুড়িগ্রামের পৌর মেয়র এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিউল ইসলাম জানান, সোহান পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং একজন ব্যবসায়ী। সদর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিন্দুর নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সব অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ফোন রিসিভ না করলেও এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচার দাবি করেন।