আইসিটি বিভাগের অধীন ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের (আইডিয়া) আওতায় বিসিসি কর্মকর্তাদের নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ও দেশি স্টার্টআপদের অগ্রগতি চলমান রাখতে আইডিয়া প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ ও করণীয় বিষয়ে বক্তারা কথা বলেন।
সভায় বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ ও আইডিয়া প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান।
সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, স্টার্টআপের যাত্রা কঠিন যাত্রা। শুধু আইডিয়া থাকলেই হবে না; পাশাপাশি বিজনেস মডেল, কমার্শিয়ালাইজেশন সম্পর্কেও স্টার্টআপদের ধারণা নিতে হবে। সফলতার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। ব্যর্থ হলেও নতুন উদ্যমে এগিয়ে আসতে হবে। বিদেশি স্টার্টআপ সংস্কৃতির ব্যাখ্যায় জানান, বাংলাদেশে বড় সুবিধা হলো একেবারে শুরু থেকেই সরকার সহযোগিতা করছে।
অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে এখন স্টার্টআপের চাহিদা আছে। আগে সুযোগ কম থাকলেও সরকার এখন বহু সুযোগ সৃষ্টি করছে। রিসার্চ ও উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, সঠিক পদ্ধতিতে ডকুমেন্টশন করা প্রয়োজন। উদ্যোক্তাদের জন্য ডকুমেন্টশন জরুরি। আইডিয়া প্রকল্প বিষয়ে জানতে আগ্রহীরা (www.idea.gov.bd) সাইটে তথ্য পাবেন।
আইডিয়া প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, স্টার্টআপদের জন্য সরকারের তরফ থেকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের জন্য আছে মেন্টরিং, অনুদান, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সাপোর্ট ছাড়াও বেশ কিছু সুযোগ; যার মাধ্যমে তৈরি হয় ইকোসিস্টেম। সুযোগগুলো তরুণদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে স্টার্টআপদের কল্যাণে সহযোগিতা চলমান থাকবে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।