বঙ্গনিউজঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোঃ দাউদ খানের পিএইচডি থিসিস পরীক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা হতে প্রাপ্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঞ্জুরি কমিশন গত ২৯ জানুয়ারী একটি পত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বরাবরে পাঠানো হয় যার প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন রেজিস্ট্রার ও উপাচার্য দপ্তর আমাদের প্রতিনিধিরর কাছে। জানা যায়, অধ্যাপক মোঃ দাউদ খান ওই বিভাগের অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ” অভিসন্দর্ভ “টেকসই ব্যবসায় নৈতিকতার ভূমিকা: একটি নীতি-দার্শনিক বিশ্লেষণ” রচনা পিএইচডি লাভ ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই ডিগ্রি দিয়ে ২০২২ সালে অধ্যাপক পদে নিয়োগ পান। অভিযোগে জানানো হয় অধ্যাপক মোঃ দাউদ খানের পিএইচডি থিসিসে প্রতিটি চ্যাপ্টারে চুরি করা উপাত্ত দিয়ে রচনা করা হয়েছে। সেখানে একটি চ্যাপ্টারে ৩৬% চুরির নমুনা পাওয়া গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ সালের ৩১ মে গবেষণা চুরি প্রতিরোধের নীতিমালা পাশ করে। সেই নীতিমালা অনুসারে ২০% ( (একই উৎস বা সূত্র থেকে সর্বোচ্চ ২ ভাগ) এর উপরে চুরির প্রমান মিললে লেভেল-১ মানের চুরি বিবেচিত হবে। তাতে করে নিম্নোক্ত শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ২০% এর বেশি মিল থাকলে জরিমানা, পদাবনতি, ডিগ্রি বাতিল থেকে চাকরিচ্যুতি পর্যন্ত শাস্তির মুখে পড়তে হবে দায়ী ব্যক্তিদের। ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেইজারিজম (চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধ নীতিমালা)’অনুসারে চূড়ান্ত নীতিমালা ঘেঁটে দেখা গেছে, ২০ ভাগের বেশি তথ্যের মিল থাকলে শাস্তির মাত্রা তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। ২০ থেকে ৪০ ভাগ পর্যন্ত মিল থাকলে নিম্ন স্তর (লেভেল-১), ৪০ থেকে ৬০ ভাগ পর্যন্ত মিল থাকলে মধ্যম স্তর (লেভেল-২) এবং ৬০ ভাগের বেশি মিল থাকলে সর্বোচ্চ স্তর (লেভেল-৩) হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
থিসিস, গবেষণামূলক নিবন্ধ, মনোগ্রাফ বা প্রকল্প প্রতিবেদন কিংবা স্নাতক পর্যায়ের যে কোনো গবেষণায় লেভেল-১-এর অপরাধ করলে ডিগ্রি বা ক্রেডিট ছয় মাসের জন্য স্থগিতসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ওই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ফেলো, রিসার্চার বা গবেষককে সংশোধিত পাণ্ডুলিপি জমা দিতে হবে। লেভেল-২-এর ক্ষেত্রে ডিগ্রি বা ক্রেডিট স্থগিতসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে অভিযুক্ত পাণ্ডুলিপি সংশোধনে এক বছর সময় পাবেন। লেভেল-৩-এর ক্ষেত্রে ডিগ্রি বা ক্রেডিট দুই বছরের জন্য স্থগিতসহ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে সংশোধিত পাণ্ডুলিপি জমা দিতে হবে।এর আগে সংগীত বিভাগের অধ্যাপক লীনা তাপসী , দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রেবেকা সুলতানা, সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সামিয়া রহমান সহ আরও অভিযোগ জমা পড়েছে এবং সেগুলোর তদন্ত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু অভিযোগের অধিকতর তদন্ত চলছে।