বঙ্গনিউজঃ এক মাস ধরে পানি সরবরাহ না থাকায় রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ড প্রায় রোগীশূন্য হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রোগীরা ভর্তি হলেও পানির অভাবে অনেকে প্রাইভেট হাসপাতালে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও যারা থাকছেন, তারা চরম কষ্টে দিন পার করছেন।
জানা যায়, হাসপাতালের একমাত্র পানির উৎস বড় পাম্প প্রায় এক মাস আগে নষ্ট হয়ে যায়। কয়েকদিন আগে মহিলা ওয়ার্ডের পানির সমস্যা সমাধান হলেও পুরুষ ওয়ার্ডে সমস্যা রয়ে গেছে। ফলে পুরুষ ওয়ার্ডের রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সরেজমিন পুরুষ ওয়ার্ডে দেখা যায়, চারজন রোগী রয়েছেন। পুরো ওয়ার্ডই ফাঁকা। শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত সিরাজ মিঞা বলেন, ভর্তি হওয়ার পর থেকে দেখছি পানি নেই। দীর্ঘদিন ধরে পানি না থাকায় বাথরুমে খুবই দুর্গন্ধ। দুর্গন্ধ পুরো ওয়ার্ডে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে থাকা বেশ মুশকিল। উপজেলার শেখপুরা থেকে আসা ৬৫ বছর বয়সি কালু মিয়া জানান, চারদিন ধরে হাসপাতালে আছেন। বাথরুমে পানি না থাকায় নিচ থেকে স্ত্রীকে পানি আনতে হয়। এ দুর্ভোগের কারণে চলে যাবেন বলে জানান তিনি। পা ভাঙা নিয়ে চণ্ডিপুর ইউনিয়ন থেকে এসেছেন দিনমজুর সালেহ আহম্মেদ। ১০ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পানির অভাবে তারা গোসল করতে পারছেন না। স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, বাথরুমের অবস্থা খারাপ দেখে অনেক রোগী নিজের ইচ্ছামতো চলে যাচ্ছেন। আর্থিক অবস্থার কারণে তারা থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুণময় পোদ্দার জানান, হাসপাতাল ও হাসপাতালের আবাসিক এলাকার একমাত্র পানির উৎস বড় পাম্প ২৯ ডিসেম্বর বিকল হয়ে যায়। লবণাক্ত ও ময়লা পানি আসার কারণে ছয় মাস আগে উপজেলা ও পৌরসভার হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। আবারও জানানো হলে তারা শুধু মহিলা ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ অস্থায়ীভাবে নিশ্চিত করেছেন। পানির অভাবে পুরুষ ওয়ার্ডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যাহত হচ্ছে। অসুবিধা হচ্ছে রোগীদের।