বঙ্গনিউজঃ রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় শুরুর সরকারি ছুটির দিনগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। শুক্রবারের মতো শনিবারও কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। তবে মেলায় সার্বিক নিরাপত্তা থাকার পরও ৭ম দিনেও স্টল নির্মাণের কাজ চলতে দেখা গেছে।
এছাড়া এদিন বিভিন্ন স্টলে ছিল দেশি-বিদেশি পোশাক, জুতা, আসবাব, সাজসজ্জা ও প্রসাধনী পণ্যের সমাহার।
এদিকে মেলার শুরুতে তেমন না জমলেও যমুনা ইলেকট্রনিক্স ও পেগাসাস মোটরসাইকেলের বিক্রি জমজমাট।
যমুনা প্যাভিলিয়নের কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশিদ (ডেপুটি ইনচার্জ) জানান, আজ অফারে আমাদের স্মার্ট এলইডি টিভি, এসি, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিনসহ একাধিক পণ্য বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে।
মধুরা এলাকা থেকে আসা জেরিন জান্নাত কিনেছেন যমুনার স্কুটি। তিনি বলেন, এবার যমুনা গ্রুপ বেশ ভালোমানের স্কুটি এনেছে। তাই আমি এ স্কুটি কিনলাম। বাজারে অনেক মানের স্কুটি আছে। যমুনার এ স্কুটি আমার খুব ভালো মনে হয়েছে। দামেও বেশ ছাড় পেয়েছি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই মেলায় আগমন ঘটেছে বিপুল পরিমাণ দর্শনার্থীর। তাদের অনেকেই শুধু ঘুরে দেখছেন। কিনছেন কম। তবে স্বজন নিয়ে ঘুরতে আসা লোকজন খাবার হোটেলে ভিড় করছেন। খুঁজছেন মানসম্মত খাবার।
অনেকের অভিযোগ, মেলার ভেতরে নিম্নমানের খাবারের হোটেলে সয়লাব। দাম বেশি রাখা আর নিম্নমান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।
ডেমরা এলাকার বাসিন্দা মনি ভূঁইয়া বলেন, এবার এখনো চাহিদামতো পণ্য নেই মেলায়। তাই প্রথম দিকে যারা আসছেন শুধু ঘুরে দেখে চলে যাচ্ছেন। খাবারের মানও ভালো নয়। এছাড়া খেতে গিয়ে দাম নিয়ে ঝগড়া করতে হচ্ছে।
মেলার ভেতরে রয়েছে হাজী বিরিয়ানি নামে নানা প্রতিষ্ঠান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব বিরিয়ানির স্টলগুলোর সাইনবোর্ডে নিজ নিজ নাম ব্যবহার হলেও পরিচালনাকারীদের কেউ ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত নন। শুধু হাতবদল করে এসব স্টল চালাচ্ছেন সিন্ডিকেটের লোকজন।
স্টল কর্মকর্তা বলেন, ২০ ফুট প্রস্থ ৩০ ফুট দৈর্র্ঘ্যরে স্টল বরাদ্দ পেতে মূল মালিকের খরচ হয়েছে ৯ লাখ টাকা। কিন্তু ওই স্টলটি আমরা চালাচ্ছি ১৪ লাখ টাকার চুক্তিতে। মূল মালিক হাতবদল করে ৫ লাখ টাকা মুনাফা নিয়ে গেছেন। এ মুনাফা তুলতেই আমরা ভালোমানের খাবার পরিবেশন করতে পারছি না। কারণ, মসলাসহ সব পণ্যের দাম বেশি। আবার কর্মচারী তো আছেই। স্বাভাবিকভাবেই দাম বেশি রাখতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ অঞ্চলের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, মেলায় খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে ভোক্তা অধিকারসহ একাধিক টিম আছে। তারা তদারকি করছেন। আমাদের লোকজনও কাজ করছেন। তবে লোকবল কম। দাম নিয়ে ভোক্তারা অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রমতে, এবার মেলায় দেশ-বিদেশের ৩৩০টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৮টি বিদেশি স্টল। এ মেলায় এবার ৫শ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।