নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ২০২৩ সালে নিজেদের অর্জন তুলে ধরেছে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া। রাজধানীতে আয়োজিত ‘হুয়াওয়ে সোলার অ্যানুয়াল সিরিমনি’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি। হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ৬২টির বেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
২০২৩ সালে জাতীয় গ্রিডে সংযোজনের জন্য হুয়াওয়ে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ইউটিলিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। মনপুরা উপজেলায় ২২ মেগাওয়াট আওয়ার ইএসএস সক্ষমতার বাংলাদেশের বৃহত্তম ও প্রথম মাইক্রো গ্রিড প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে ৭২টির বেশি সোলার রুফটপ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ২০২৩ সালে হুয়াওয়ে ফিউশন সোলার ইনভার্টার ব্যবহার করে মোট ১৩২ মেগাওয়াট সক্ষমতার সোলার পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
হুয়াওয়ের বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হলো জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই), বুয়েট, মেঘনা গ্রুপ, আকিজ বশির গ্রুপ, রাইজিং গ্রুপ, এনভয় গ্রুপ, ফকির গ্রুপ, কাজী ফার্মস এবং ওয়ালটন গ্রুপের প্রকল্প। সব প্রকল্পের বাস্তবায়ন সৌর জ্বালানি খাতে হুয়াওয়ের অবদান উপস্থাপন করে।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার বিজনেস বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করার যে লক্ষ্যমাত্রা আছে, তা অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সমাধান ও পণ্য সরবরাহ করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
ডিজিটাল পাওয়ার পণ্যগুলো বেশ জনপ্রিয়। ২০২৩ সালের যে অর্জন, তা জনপ্রিয়তারই প্রতিফলন। আরও অবদান রাখতে কাজ করে চলেছেন বলে জানান লিয়াং উইক্সিং।
হুয়াওয়ে আবাসিক স্মার্ট পিভি অ্যান্ড ইএসএস সল্যুশন্স, সিঅ্যান্ডআই স্মার্ট পিভি অ্যান্ড ইএসএস সল্যুশন্স ও ইউটিলিটি স্মার্ট পিভি সল্যুশন্স তৈরি করে। সব সল্যুশন্সের আওতায়, আইপিপি, রুফটপ, ডেটা সেন্টার ও মোবাইল টাওয়ারের জন্য হুয়াওয়ের সোলার ইনভার্টার ও গ্রিন পাওয়ার সল্যুশন্স স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে।