বঙ্গনিউজঃ ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুর রহমান ঝনক নামে এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামুদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে সোমবার রাতে নৌকার প্রার্থী শামীম হকের এক কর্মীকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ উঠেছে। পৃথক এ ঘটনায় বুধবার সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাবে আ.লীগের প্রার্থী শামীম হক এবং একই সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদের ফরিদপুরের ঝিলটুলীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ কে আজাদের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুন্নু মোল্লা বলেন, প্রতিদিনের মতো প্রচারণা শেষে আমরা নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এমন সময় প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ নৌকার স্লোগান দিয়ে আমাদের অফিসে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাদের অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঈগল প্রতীকের কর্মী আব্দুর রহমান ঝনকের মাথায় আঘাত করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা স্থান ত্যাগ করে। পরে ঝনককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার মাথায় আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আহত আব্দুর রহমানের স্ত্রী পারভিন বলেন, সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে তার স্বামীর মাথায় কোপ দিয়েছে। আমি এই সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই। ঈগল প্রতীকের সমর্থক হলেই কি তাকে এভাবে কোপাতে হবে? এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত আটটার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এলাকায় এ কে আজাদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
শামীম হকের সমর্থক ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শেখ বলেন, শহরের মাহমুদপুর এলাকায় একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে গণ্ডগোলের সংবাদ শুনেছি। ওই পর্যন্তই, এর বাইরে আমার কিছু জানা নেই।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একে আজাদের জখম হওয়া কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকাবাসী ও একে আজাদের ওই কর্মী জানিয়েছেন হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।