বঙ্গনিউজঃ গাজার ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা রোববার গভীর রাতে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।আশরাফ আল কুদরা জানিয়েছেন, গতকাল রোববার বিমান হামলা চালানো হয়। হামলায় জনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাটি ধ্বংস হয়ে গেছে। আল-মাগাজি ক্যাম্পের জনাকীর্ণ আবাসিক চত্বরে যা সংঘটিত হচ্ছে তা আসলে গণহত্যা।ভয়াবহ এ হামলায় অনেকেই আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে আল আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলার পর এক ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেক শিশুর রক্তাক্ত দেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, হামলায় তিনি তার কন্যা এবং নাতিকে হারিয়েছেন। তীব্র হামলার কারণে তারা উত্তরাঞ্চল থেকে গাজার কেন্দ্রে পালিয়ে এসেছেন। তারা একটি ভবনের তৃতীয় তলায় বসবাস করতেন। হামলায় ভবনটির দেয়ালধসে গেলে তার নাতি ছাড়াও কন্যা এবং তার স্বামী নিহত হন।
তিনি বলেন, ইসরাইল সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এখানে কোনো নিরাপদ স্থান নেই। তারা আমাদের গাজা শহর ছেড়ে যেতে বলছে। আমরা নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে গাজার কেন্দ্রে এসেছি। কিন্তু এখানেও মরতে হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ইসরাইল বাহিনী প্রধান সড়কের সঙ্গে থাকা তিনটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে। সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর চালানো হামলায় ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া বর্বর এ হামলায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ।