আরও চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার, হাবিপ্রবিতে র‌্যাগিং

Home Page » শিক্ষাঙ্গন » আরও চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার, হাবিপ্রবিতে র‌্যাগিং
শনিবার ● ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩


আরও চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার, হাবিপ্রবিতে র‌্যাগিং

 বঙ্গনিউজঃ   দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে বৃহস্পতিবার তাদের বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।

এর প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত হাবিপ্রবির সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও তাদের সহপাঠীরা।

জানা গেছে, চলতি বছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে দুই দফায় হাবিপ্রবির আটজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। হাবিপ্রবির প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ জানান, ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এম ওয়াজেদ ভবনে অর্থনীতি বিভাগের নবাগত ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন একই বিভাগের ২২ ব্যাচের অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় ২৩ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চারজনকে বহিষ্কার ও পাঁচজনকে কঠোরভাবে সতর্ক করার সুপারিশ করে। এ শাস্তি ১৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

অর্থনীতি বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী তহিদুল ইসলাম তুরাগ ও সজিব হোসেনকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ব্যাচের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান চৌধুরী ও অনুপ রায়কে একাডেমিক কার্যক্রম হতে এক সেমিস্টার বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া একই ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহীন আলম, জাহিদ হাসান, শাকির মাহমুদ ও ইয়াসির রহমান শাকিল এবং ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী এফএন শাবিনকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

ছাত্র উপদেষ্টা ও পরামর্শ বিভাগের প্রধান প্রফেসর মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নিজ বিভাগে প্রভাব খাটানোর জন্য শিক্ষার্থীরা এ ধরনের অপরাধ করেছে। তদন্তে প্রমাণ পেয়ে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। র‌্যাগিং প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময়ই কঠোর।

এদিকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় দিনাজপুর থেকে রংপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটক পড়ে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দুই দফা আলোচনার পর বহিষ্কারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার শর্তে তারা অবরোধ তুলে নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫১:৩৬ ● ১৬৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ