নিয়মিত শরীরচর্চা রোগ প্রতিরোধ পাঁচিলকে মজবুত করে। একটা বয়সের পর ঘাম ঝরিয়ে হাঁটা উত্তম ব্যায়াম। শরীরচর্চা করলে রক্তপ্রবাহ সচল থাকে। রক্তের মধ্যে চলে আসে জীবাণুবিরোধী ইমিউন তন্ত্রের কোষ। অঙ্গ-কোষে পৌঁছে যায় জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার আণুবীক্ষণিক সৈনিক। শরীরচর্চার ফলে মন থাকে ফুরফুরে, উদ্বিগ্নতা কেটে যায়, নিদ্রা হয় সুখকর।
শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পানি। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনাকে সতেজ রাখতে এর ভূমিকা অসামান্য। রক্ত আর লসিকা নালিপথে বাহিত হয় জীবাণুবিরোধী কোষ। এদের চলাচল মসৃণ রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয়।
নিদ্রার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধের দেয়ালে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। অনিদ্রা রোগ প্রতিরোধ পাঁচিল দুর্বল করে দেয়। যারা ছয় ঘণ্টার কম নিদ্রা যান, তারা ফ্লুতে আক্রান্ত হন বেশি। প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে হলে ঘুমাতে হবে পর্যাপ্ত। পূর্ণ বয়স্কদের কমপক্ষে সাত ঘণ্টা, টিনএজদের প্রয়োজন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা আর শিশুদের দরকার ১৪ ঘণ্টা ঘুম।
শারীরিক ও মানসিক চাপ ইনফেকশনের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের মধ্যে সুপ্ত থাকা ভাইরাসকে উদ্দীপ্ত করে, পুনর্জাগরণ দান করে। মানসিক চাপ ইমিউন ব্যবস্থাপনাকে দুর্বল করে দেয়। দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ অন্যান্য ব্যাধিকে আমন্ত্রণ জানায়। সে কারণে মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন করুন।
রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশাল ঢাল হলো টিকা। অসংখ্য ব্যাধির বিরুদ্ধে আবিষ্কার হয়েছে প্রতিরোধকমূলক টিকা। সময়মতো এসব টিকা নিলে মুক্ত থাকা যাবে অনেক রোগব্যাধি থেকে।
লেখক : মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, সিএমএইচ, ঢাকা।